নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন, ২০১৫ ২৩:০৩

সেরা ৩ পারফর্মারই নবীন; ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা হবার ইঙ্গিত

২০০৭ বিশ্বকাপে যে ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ সে ম্যাচের সেরা মাশরাফি হলেও অন্য তিন ক্রিকেটার নজর কেড়েছিল সবার। ৩ জনই তখন ছিলেন জাতীয় দলে নবীন। মাশরাফির বোলিংয়ে ভারতকে অল্প রানে বেঁধে দেয়ার পর সাকিব, তামিম, মুশফিকের ৩ ফিফটিও সহজ জয়ে রেখেছিল বড় ভূমিকা। সেদিনের সেই ৩ নবীন ক্রিকেটার আজ বাংলাদেশ দলের প্রধান ৩ অক্সিজেন সিলিন্ডার হয়েই আছেন এখনও।

আবারও আরেকটি ভারত বধ। এবং কাকতালীয়ভাব এ জয়ে আবারও ৩ নবীন ক্রিকেটারের সামনে থেকে ভূমিকা রাখার গল্প। এবারের সেই তিনজন হলেন - মুস্তাফিজ, সৌম্য আর তাসকিন।

মুস্তাফিজ তো প্রথম ম্যাচে নেমেই ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা। তামিমের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে রান আউটের আগে ৪০ বলে ৫৪ রানের ঝড় তোলা সৌম্য নেমেছিলেন মাত্র ১১তম ওয়ানডে খেলতে। আর ৯৫ রানের উদ্বধোনী জুটি গড়ে যখন ভারত ম্যাচটা সহজ করার ইঙ্গিত দিচ্ছিল তখনই টানা ২ ওভারে শেখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এটা ছিল তার মাত্র ১৩তম ওয়ানডে ম্যাচ। অবশ্য অভিষেক ম্যাচেই যিনি এই ভারতের বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে সেবার হেরেছিল দল। 


এ ম্যাচে তামিম ৬০ রান করেছেন, সাকিব ৫২ রানের সাথে ২ উইকেটও নিয়েছেন, মাশরাফি ২১ রান আর ১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে দলের জয়ের সবচেয়ে বড় ভূমিকা কিন্তু ওই ৩ নবীন ক্রিকেটারের।

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরনীও অবশ্য সেকথাই বলে। স্টাইলিশ প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন সৌম্য সরকার, বেস্ট বাংলাদেশী পারফর্মারের পুরষ্কার গেছে তাসকিনের ঝুলিতে আর ম্যাচ সেরার পুরষ্কার তো পেয়েছেন অভিষিক্ত মুস্তাফিজই।

এটাকে দারুন ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। বলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগেছে নতুন দিনের হাওয়া, এটা তারই স্পষ্ট আভাস। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা তাই বেড়েই গেল। একটা সিলিন্ডার অকেজো থাকলে অন্যগুলো ঠিকই বাঁচিয়ে রাখবে জয়ের স্বপ্ন।এ যেন সত্যি বাংলাদেশের ক্রিকেট পরাশক্তি হবার আভাস। একদিন হয়ত এদের হাত ধরেই বিশ্বকাপটা ঘরে তুলবে টাইগার বাহিনী। 


 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত