০৩ মে, ২০১৮ ০২:৪০
১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠেছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এএস রোমার বিপক্ষে ৪-২ গোলে হারলেও ৭-৬ গোলের অগ্রগামিতায় তারা ফাইনালে ওঠে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল জিতেছিল ৫-২ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের নবম মিনিটে রোমের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন সাদিও মানে। ব্রাজিলিয়ান রবের্তো ফিরমিনো বাড়ান বাঁ প্রান্তে থাকা মানের কাছে। ফাঁকা রক্ষণের সুযোগ নিয়ে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে বল জালে জড়িয়ে দেন সেনেগালের এ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে রোমা সমতায় ফেরে জেমস মিলনারের আত্মঘাতী গোলে। এল শারাউয়ির হেড ক্লিয়ার করতে জোরালো শট করেছিলেন ইংলিশ ক্লাবটির ডিফেন্ডার লভরেন। কিন্তু তার শট সতীর্থ মিলনারের মাথায় লেগে আশ্রয় নেয় জালে।
২৫তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় লিভারপুল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় রোমা। উল্টো এদিন জেকোর হেডে গোলমুখে বল পেয়ে যান জর্জিনিয়ো ভিনালডাম। ডাচ মিডফিল্ডারের অনায়াস লক্ষ্যেভেদে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-৩। শেষ হয়ে যায় রোমার অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে রোমা। ৫১তম মিনিটে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে সমতায় ফেরান জেকো। এল শারাউয়িই শট ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেছিলেন লিভারপুল গোলরক্ষক, তবে তার ফিস্ট করা বল বক্সের ভেতর পেয়ে যান জেকো, বাতাসে ভাসানো শটে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা স্ট্রাইকার বল জড়িয়ে দেন জালে।
স্কোরলাইন ২-২ করেন এডিন জেকো এরপর অন্তত আরও তিন থেকে চারটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয়েছে স্বাগতিকদের। কখনও জেকো হতাশ হয়েছেন, কখনও এল শারাউয়ি মাথায় উঠেছে হাত।
ম্যাচ শেষ হতে কয়েক মিনিট বাকি, তখনই ফের গোলের দেখা পায় রোমা। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন নাইনগোলান। ইনজুরি টাইমের পেনাল্টি থেকে এই মিডফিল্ডার আবারও করেন লক্ষ্যভেদ।
ম্যাচ শেষ হয় ৪-২ গোলে; তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের ব্যবধানে এএস রোমাকে টপকে ফাইনালে ওঠে লিভারপুল।
ফাইনালে লিভারপুল খেলবে গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। ফাইনাল আগামি ২৬ মে অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মন্তব্য