ক্রীড়া প্রতিবেদক

০১ আগস্ট, ২০১৮ ১০:৫৭

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে হার

বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১১ ওভারে ৯১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবিয়রা ১১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায়; উইকেট হারায় মাত্র ৩টি।

এরআগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১৪৩ রান। পরে বৃষ্টির কারণে উইন্ডিজ ইনিংসের শুরুতে দেরি হওয়ায় নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ হয়।

এ জয়ে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

৯১ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নামা ক্যারিবীয়দের শুরুতেই কাঁপিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন লুইস (২) ও ফ্লেচারকে (৭)।

শুরুতেই দুই ওপেনার ফিরলেও আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন স্যামুয়েলস। দ্রুতগতিতে রান তোলেন তিনি। একের পর এক বাউন্ডারিতে দলীয় ৫২ রানে মাহমুদউল্লার তালুবন্দি করে তাকে ফেরান রুবেল। ততক্ষণে ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন স্যামুয়েলস।

বাকি কাজটুকু সারেন রাসেল ও রোভম্যান।বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা করে ১১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। রাসেল খেলেন ২১ বলে সমান ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ রানের হার না মানা বিধ্বংসী ইনিংস। ৯ বলে ২ ছক্কায় ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রোভম্যান।

বুধবার সেন্ট কিটসে টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লস ব্র্যাথওয়েট। তবে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ইনিংসের প্রথম বলেই নার্সের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম (০)। ফের ব্যর্থ সৌম্য (০)। কোনো রান না করেই নার্সের স্পিনে ফেরেন তিনি।

এরপর সাকিবকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লিটন। এতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তাদের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছিল সফরকারীরা। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। ষষ্ঠ ওভারে পলের শর্ট বলে ফেরেন লিটন (২৪) ও সাকিব (১৯)। ফের চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সেই চাপের মধ্যে লড়েন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক। এতে বাড়ে রানের গতি। বাংলাদেশও এগোচ্ছিল ঝড়ো গতিতে। তবে হঠাৎই হার মানেন মুশফিক (১৫)। কেসরিকের শর্ট বলে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

কিছুক্ষণ পরই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন আরিফুল (১৫)। রাসেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবু লড়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১২৫ রানে কেসরিকের এক ডেলিভারিতে লড়াই থামে তার। ফেরার আগে ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন মিস্টার কুল।

শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। রুবেল ২ ও মোস্তাফিজ ৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এর আগে মিরাজ (১১) ও নাজমুল (৭) কেসরিকের শিকার হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার কেসরিকই, ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ১৪৩ রানে আটকে রাখেন তিনিই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত