সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

০৭ জুলাই, ২০১৫ ২৩:৪৩

ঝুলে গেলো তিন নাইজেরিয়ানের নাগরিকত্ব ভাগ্য

শেষ পর্যন্ত বিদেশি ফুটবলারদের নাগরিকত্বের ব্যাপারটি ঝুলে গেলো। আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

সোমবার (৬ জুলাই) বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আফ্রিকানদের জাতীয় দলে খেলানোর পক্ষে মত দিয়েছিলেন। আনুষঙ্গিক সব প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ায় কাগজপত্র জমা না দিয়েই ফেরেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

তিন নাইজেরিয়ান ফুটবলারকে নাগরিকত্ব দিয়ে বাংলাদেশ দলে খেলানোর বাফুফের সিদ্ধান্তে অনেক সমালোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ইসমাঈল বাঙ্গুরা, কিংসলে শিগোজি ও সামাদ ইউসুফকে জাতীয় দলে খেলানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

ব্যাপারটির বিপক্ষে জনমত গড়ে ওঠায় পিছপা হতে বাধ্য হয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

‘আসলে তিন বিদেশি ফুটবলারের খেলার বিষয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। আমরা তো ফুটবলের উন্নয়নই চাচ্ছি। এখন যদি বিষয়টি সবাই নেতিবাচক মনে করে, তাহলে ভেবে দেখা উচিত। তাই বাফুফে সভাপতির নির্দেশে আপাতত জাতীয় দলের জন্য তিন বিদেশি ফুটবলারকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত করা হলো’

তবে বিদেশি ফুটবলারদের নাগরিকত্ব প্রদান না করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আগামী ১৪ জুলাই বাফুফের কার্যনির্বাহী সভা আছে। সেদিনই জানা যাবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। ঘরোয়া লীগে পাঁচ বছরের বেশি কোনো বিদেশি খেললে তাকে নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় দলে খেলানোর রীতিটা অনেক দেশেই হয়েছে। বাংলাদেশের ফুটবলেও সে সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়। জাতীয় দলের স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় বিদেশি ফুটবলারদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে।

পছন্দ অনুযায়ী নাইজেরিয়ার কিংসলে, গিনির বাঙ্গুরা ও ঘানার সামাদকে বেছে নেয় ফেডারেশন। তিন আফ্রিকানকে নাগরিত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই সমালোচনার ঝড় ওঠে ফুটবলাঙ্গনে। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা এসব বিতর্ক তোয়াক্কাই করেননি।

জাতীয় দলে বিদেশি ফুটবলার খেলানোর জন্য বাফুফেকে অনুরোধ করেন কোচ লোডভিক ডি ক্রইফ। সত্যিকার অর্থে গত কয়েকটি ম্যাচে দেখা গেছে, জাতীয় দলের স্ট্রাইকাররা গোল করতে ব্যর্থ হন। দেশসেরা স্ট্রাইকার হিসেবে সুনাম অর্জন করা জাহিদ হাসান এমিলি প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারছেন না। অন্যরাও নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না।

উপায়ান্তর না দেখে ঘরোয়া লীগে খেলা বাঙ্গুরা, কিংসলে ও সামাদকে নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় দলে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় ফুটবল ফেডারেশন। গত সপ্তাহে বাংলাদেশি হওয়ার জন্য আবেদনও করে এ তিন আফ্রিকান। বাফুফের দেওয়া শর্তগুলো মেনে ফরম পূরণ করেন তারা। ফেডারেশনও তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়। কিন্তু ফুটবল-বোদ্ধারা ফুটবল ফেডারেশনের এ সিদ্ধান্তে সমালোচনায় মেতে ওঠেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত