স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০২:০৮

‘জাতীয় দলে এবার সিলেটি ভাষায় কথা বলতে পারবো’

জাতীয় লিগে খেলার সময় ওকে বলছিলাম, তুই জাতীয় দলে এলে অনেক ভালো হবে। জাতীয় দলে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারি না। তুই এলে সেটা বলতে পারব!

সৈয়দ খালেদ আহমদকে নাকি একথাই বলেছিলেন আবু জায়েদ। জায়েদের সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। খালেদও এসে গেছেন জাতীয় দলে। এবার নিশ্চয়ই জাতীয় দলে সিলেটের ভাষায় (সিলেটি) কথা বলতে পারবেন জায়েদ।

বুঝাই যাচ্ছে জায়েদ আর খালেদ এই দুই পেসারেরই বাড়ি সিলেটে। জায়েদ আগে থেকেই আছেন টেস্ট দলে। এবার প্রথমবারের মতো সুযোগ পেলেন খালেদ। তাও সিলেটের মাঠে টেস্টে। টেস্টে সিলেট স্টেডিয়াম আর খালেদের অভিষিক হয়ে যেতে পারে একইদিনে।

একসময় জাতীয় দলে ছিলেন সিলেটের কয়েকজন ক্রিকেটার। রাজিন সালেহ, অলক কাপালি, তাপস বৈশ্য। এরপর দীর্ঘ একটা শূন্যতা। এবার সেই শূন্যতা পুরণে এসেছেন জায়েদ আর খালেদ। অনেকদিন পর জাতীয় দলে সিলেটের দুই তারকা।

এ ব্যাপারে জায়েদ বলেন, আমাদের মতো দুই-তিনজন খেলোয়াড় যদি বাংলাদেশ দলে আসে, সিলেটের অনেক ক্রিকেটার অনুপ্রেরণা পাবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলে খেলার স্বপ্ন দেখবে।

জাতীয় লীগ আর এ দলে ভালো খেলে জাতীয় দলের ডাক পাওয়ার পথ প্রশস্ত করে রেখেছিলেন খালেদ। তাকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। যাক পেয়ে গেলেন এবার। খালেদ বলেন, গত কিছুদিনে যেভাবে খেলছিলাম আশা ছিল একদিন সুযোগ আসবে। এইচপি, ‘এ’ দল, এনসিএল (জাতীয় লিগ), বিসিএলে (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) নিজেকে তৈরি করেছি। সামনে হয়তো আরও ভালো কিছু হবে।

দু'জনই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন একটু দেরীতে। ২৫/২৬ বছর বয়সে। তবে এ নিয়ে আফসোস নেই আবু জায়েদের। বলেন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই স্বপ্ন দেখেছি, জাতীয় দলে খেলব। বিশ্বাস করেছি ভালো করলে একদিন না একদিন সুযোগ আসবে।

তবে আফসোস ছিলেন খালেদের। তিনি বলেন, প্রথমে খারাপ লাগতো। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলতে পারিনি। নিজেকে বুঝিয়েছি, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলিনি তাতে কী! পরিশ্রম করলে একটা সময় জাতীয় দলে সুযোগ পাব। শেষ পর্যন্ত সুযোগটা পেয়েছি।

জাতীয় দলের তরুণ সতীর্থ খালেদের প্রশংসা করে আবু জায়েদ বলেন, সিলেটে আমরা ওকে বলি ‘বুলেট খালেদ’! ভালো গতিতে বোলিং করতে পারে। এ কারণে বুলেট বলে সবাই। নিয়মিত ঘণ্টায় ১৩৬-১৩৮ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারে। নিজেকে পরিচর্যা করলে হয়তো আরও বেশি গতিতে করতে পারবে। আর সে বল ভালো উচ্চতায় তুলতে পারে। আগেও বলেছি, যেকোনো দলে একজন ভয়ংকর (থ্রেট) বোলার দরকার। বিশ্বের বেশির ভাগ দলেই এটা আছে। ভারতের মোহাম্মদ শামি-ইশান্ত শর্মা জোরে বোলিং করে। ওদের সমর্থন দেয় সুইং বোলার ভুবনেশ্বর কুমার। প্রায় প্রতিটি টেস্ট দলে এমন বোলার আছে, যে আতঙ্ক ছড়িয়ে উইকেট বের করবে। স্টুয়ার্ট ব্রডকে সমর্থন দেয় জেমস অ্যান্ডারসন। আমাদের সিলেট দলে শামি-ইশান্তের ভূমিকায় থাকে খালেদ, আর আমি থাকি ভুবনেশ্বরের ভূমিকায়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের লক্ষ্য প্রসঙ্গে আবু জায়েদ বলেন, অবশ্যই ভালো বোলিং করে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব।

আর খালেদ আহমদ বলেন, একাদশে সুযোগ পেলে ভালো বোলিং আর সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার চেষ্টা করব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত