দেবকল্যাণ ধর বাপন

০১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:৪২

বদলে যাচ্ছে গ্রিন গ্যালারির আদল

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো আছেই, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্থাপত্যেও আছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। তবে এসবকে ছাপিয়ে আলাদা করে চোখ টেনে নেওয়ার কথা ছিল গ্রিন গ্যালারির। অথচ অভিষেক টেস্টের আগে নামে সবুজ গ্যালারিকে দূর থেকেই মনো হলো ধূসর। বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মেনে নিলেন এ পরিবর্তন; কীভাবে গ্রিন গ্যালারি আসলেই গ্রিন করা যায়, জানিয়েছেন কিছু পরিকল্পনাও।

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ক্রিকেট মাঠে পুরো এশিয়ায় প্রথম এমন ব্যবস্থা হয় সিলেটেই। নিশ্চিতভাবেই গ্রিন গ্যালারিই ছিল সিলেট ভেন্যুর সবচেয়ে বড় সিম্বল। অথচ সেই সিম্বলই এখন অস্বস্তির নাম।

গ্রিন গ্যালারির ঘাস ধূসর হয়ে আছে অনেকদিন। সাধারণত নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্রিন গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা হয় আরামদায়ক। শরীর এলিয়ে, আধশোয়া হয়ে লোকে দেখে খেলা। সিলেটের গ্রিন গ্যালারির খাড়া ঢাল, অকারণে গ্যালারির শেপে সিঁড়ি দেওয়ায় বসাটাও ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার অভিষেক টেস্টের নানান আয়োজন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে গ্রিন গ্যালারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। স্বীকার করে নেন এর খামতি, ‘এই জায়গায় কিছুটা ব্যত্যয় হয়েছে। সেটা যেভাবেই হোক হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে হয়তো পারব না এটির কাজ ধরতে। আউটার স্টেডিয়ামের কাজ যখন শুরু হবে তখন হয়তো করা যাবে।’

সিলেটের মাঠের রক্ষণাবেক্ষণে ভূমিকা রাখা এই সংগঠক জানালেন গ্রিন গ্যালারিকে ঠিক করতে বদলে নেওয়া হবে এর আদলও, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, গ্রিন গ্যালারি যাতে গ্রিন গ্যালারির মতো হয়। সিঁড়ির মতো হওয়ার কারণে এর পরিচর্যা করতে আসলে বেশ অসুবিধা হয়। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের নিচে যেমন ঢালু সারি রয়েছে, ওরকম করে তৈরির জন্য অনুরোধ করেছি। তখন আরও দর্শক বসতে পারবেন এবং নিরাপদে খেলা দেখতে পারবেন। তখন আসলেই ওটাকে গ্রিন হিসেবে দেখানো যাবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত