সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০২০ ২১:৫৪

পাকিস্তান যেতে 'চাপ', রেগে মিটিং থেকে বেরিয়ে যান মুশফিক

টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত যেহেতু পাকিস্তান যাচ্ছেন না, সেহেতু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখা হবে তাকে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন আশা করেছিলেন, এপ্রিলে পাকিস্তানে খেলতে যাবেন মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের চাওয়াও ছিল তাকে দলে পাওয়া। সে কারণেই রোববার টিম হোটেলে মুশফিককে নিয়ে মিটিংয়ে বসেছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আর হাবিবুল বাশার। সেখানেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর একটি ঘটনা।

বিসিবির একজন পরিচালক জানান, পাকিস্তানে যেতে না চাওয়ায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে বাদ দেওয়ার কথা তোলায় রেগে গিয়ে সভা বয়কট করেন মুশফিক। মুশফিক দেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। তিনি দলে থাকলে ব্যাটিং লাইন শক্তিশালী হয়। এজন্যই এপ্রিলে পাকিস্তান সফরে একমাত্র ওয়ানডে ও টেস্ট দলে মুশফিককে পেতে মরিয়া ছিলেন কোচ। সে কারণেই তার মতামত জানতে রোববার একসঙ্গে বসা।

নাম গোপন রাখার শর্তে বিসিবির ওই পরিচালক বলেন, 'মুশফিককে পাকিস্তানে যেতে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হয়নি। সে তার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে কিনা জানতে চাওয়া হয়। নান্নুকে সে সরাসরি না বলে দেয়। আমার জানা মতে, সেখানে কোনো চাপ বা উচ্চবাচ্যের কিছু ছিল না। প্রধান নির্বাচক যেটা বলেছেন, পাকিস্তানে না গেলে শেষ ম্যাচে তোমাকে বাদ দেওয়া হবে। পাকিস্তানে যে একাদশ খেলবে, শেষ ওয়ানডেতে সেই দল খেলাব। এ কথা শুনেই রেগেমেগে বেরিয়ে যায় মুশফিক। মাঠে এসে সেটা আবার মিডিয়াকেও বলেছে। সে যে কোচ ও নির্বাচকদের অপমান করল তাতে কোনো দোষ নেই! খেলোয়াড়দের এভাবে মিডিয়ার কাছে বলা ঠিক না।'

বিসিবি পরিচালকদের একাংশ এবং নির্বাচকরা মনে করেন, সিরিজ জিতে যাওয়ার পর কোচ একাদশ সমন্বয় করতে নতুন কাউকে সুযোগ দিতেই পারেন। বিশ্রাম দেওয়ার কথা বলেও তাকে বাদ দিতে পারত টিম ম্যানেজমেন্ট। বোর্ডের একজন কর্মকর্তার দাবি, মুশফিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করে মিডিয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছে। তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেন কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে মিনহাজুল আবেদীন ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, 'মুশফিকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম ও পাকিস্তানে যাবে কিনা। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিলাম। কারণ সে না থাকলে ব্যাটিংটা দুর্বল হয়ে যায়। সে যখন বলেছে, পাকিস্তান যাবে না তখন আমি বলেছি, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে অন্য কেউ খেলবে।' নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ দলের আগের দুই সফরে পাকিস্তানে খেলতে যাননি মুশফিক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত