স্পোর্টস ডেস্ক

২২ মার্চ, ২০২০ ১০:৫৯

করোনা আক্রান্ত পুত্রসহ পাওলো মালদিনি

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই একে বৈশ্বিক মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে ইতালি। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ইতালির ক্রীড়াঙ্গনেও হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। সেখানে বসবাসরত বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন পাওলো মালদিনি। কিংবদন্তি এই সাবেক ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের ছেলে দানিয়েল মালদিনিও আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।

৫১ বছর বয়সী মালদিনি বর্তমানে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। তার ছেলে ১৮ বছর বয়সী দানিয়েল একই দলের হয়ে খেলেন। চলতি মৌসুমেই মিলানের জার্সিতে ইতালিয়ান সিরি আ’তে অভিষেক হয়েছে তার।

শনিবার রাতে ক্লাবটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে মালদিনি ও তার ছেলের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মালদিনি ও তার ছেলে দুজনেই আছেন কোয়ারেন্টিনে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানা গেছে।

নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মিলান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘এসি মিলান নিশ্চিত করছে যে, ক্লাবের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পাওলো মালদিনি এমন একজন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন যিনি পরবর্তীতে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েছিলেন এবং মালদিনি নিজেও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখাতে শুরু করেছিলেন।’

‘গতকাল তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় এবং ফল পজিটিভ এসেছে। তার ছেলে দানিয়েল যিনি এসি মিলানের যুব দলের সদস্য এবং সম্প্রতি মূল দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন, পরীক্ষায় তার-ও পজিটিভ ফল এসেছে।’

‘পাওলো ও দানিয়েল দুজনেই ভালো আছেন। গেল দুই সপ্তাহ ধরে তারা নিজেদেরকে বাড়িতে আলাদা করে রেখেছিলেন এবং অন্য কারও সংস্পর্শে যাননি। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে, যতদিন পর্যন্ত না তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন, ততদিন তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।’

পাওলো মালদিনি ইতালি জাতীয় দলে খেলেছেন প্রায় দেড় যুগ। ২০০৯ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর আগে ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটান এসি মিলানে। সুদীর্ঘ ২৫ বছর সান সিরোর মাঠ দাপিয়ে অন্যান্য অনেক শিরোপার পাশাপাশি জেতেন সাতটি সিরি আ ও পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

এ পর্যন্ত ইতালিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩,৫৭৮ জন, এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬,০৭২ জন আর মারা গেছেন ৪,৮২৫ জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত