বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি

২১ মে, ২০২০ ২০:২৭

বিয়ানীবাজারে করোনায় মারা যাওয়া পল্লী চিকিৎসকের দাফন সম্পন্ন

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বিয়ানীবাজারের তিলপাড়া ইউনিয়নের সাবেক দুইবারের ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের মাটিজুরার টুকা-মালোপাড়া এলাকায়র পারিবারিক কবরস্থানে আবুল কাশেমের দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।

এর আগে এদিন বিকাল ৪টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আবুল কাশেমের মরদেহ গোসল, জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করেন কওমী ও আলিয়া মাদ্রাসা পড়ুয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। এ সময় সহযোগিতা করেন বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবুল কাশেম মারা যাবার কারণে তার পরিবারের কোন সদস্য বা এলাকাবাসীকে মরদেহ দাফনের জন্য আসতে দেয়া হয়নি। লাশ দাফনের পর তার কবরে মাটি দেয় পরিবারের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন



এদিকে, এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুল ইসলাম শাহিন তার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়া আবুল কাশেমকে। পরে সেখানে ভর্তি হওয়ার ঘন্টা দুয়েক পর তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এমন খবর আসে। তিনি বলেন, গত ১৯ মে  আবুল কাশেমের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। তিনি গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার টিকরবাড়ি গ্রামের প্রথম রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। আবুল কাশেমের পরিবারের ৫ সদস্যসহ ৬জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আবুল কাশেম বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক সদস্য। একই ইউনিয়নের মাটিজুরা টুকা-মালোপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। আবুল কাশেম পার্শ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ বাজারের একজন পল্লী চিকিৎসক এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন একটি ভবনে স্বপরিবারে তিনি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার ঐক্য কল্যাণ সোসাইটি গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত