একটি হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আরেকটি সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও নারী শিশু সহ  শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। উপজেলার জগদল ইউনিয়নের সিকান্দর পুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আবদুল মালেক (৫৫)। তিনি গ্রামের মৃত আসমান আলীর ছেলে। রোববার সকাল ৯ টায় গ্রামের রৌশন আলী ও মাহমুদ আলীর লোকজনের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী  এ সংঘর্ষটি হয়। সংঘর্ষে  এই ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মাহমুদ আলীর পক্ষের ৪১ জনকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রৌশন আলীর পক্ষের ৬০ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

 থানা পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায় শনিবার দিবাগত রাতে পাশ্ববর্তি হোসেনপুর বাজারে গাফলা খেলাকে কেন্দ্র করে মাহমুদ আলীর ভাতিজা সুমন ও রৌশন আলীর পক্ষের জুনায়েদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রোববার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন, রৌশন আলীর পক্ষের সৈয়দুর রহমান, আয়েশা বেগম, জাকির হোসেন, নুরুল আমীন, সফিক মিয়া, মখলিছুর রহমান, রুহুল আমীন, আয়নুল আমীন, আবদুল হামিদ, জাহির মিয়া, কামরুল, সোহেল, বাচ্চু মিয়া, অলি আহমদ, কালা মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, আজিজুর রহমান এবং মাহমুদ আলীর পক্ষের মাহমুদ আলী, ছালিক মিয়া, মোস্তাক আহমদ, ফখরুল ইসলাম, কামরুল মিয়া ও অনিক। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই রৌশন আলীর পক্ষের আবদুল মালেক মারা যান। দিরাই সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সুরত আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহত আব্দুল মালেকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে।