তাহিরপুর প্রতিনিধি

২৭ জুন, ২০২০ ২১:২৮

তাহিরপুরে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বাড়ছে পানি, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোর কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার প্রধান সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করছে।

জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, দক্ষিণ বড়দল, বাদাঘাট, উত্তর বড়দল, বালিজুড়ী, সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম ও হাটবাজারগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে গ্রামে। পানিবন্দি মানুষেরা গরু-বাছুর মালামালসহ আশ্রয় নিচ্ছে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ও গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে। কয়েকটি এলাকায় বাড়িঘর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙ্গে গেছে। ফলে ক্রমেই বেড়ে চলছে মানুষের দুর্ভোগ। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সুরমার পানি ষোলঘর পয়েন্ট দুপুর ১২টার দিকে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার এবং পাহাড়ি নদী যাদুকাটার পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ জানান, আমার উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে। আমি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে খোলা রাখার নিদের্শনা দিয়েছি। নিম্নাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্র যাবার জন্য উৎসাহিত করছি। উপজেলায় চিসকা গ্রামের বন্যা কবলিত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার বিতরণ করছি। তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও আমি সার্বক্ষণিক হাওরপাড়ের সহ প্রতিটি গ্রামের খবর রাখছি পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র খোলার জন্য। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত