বড়লেখা প্রতিনিধি

০৪ জুলাই, ২০২০ ২১:৩৯

বড়লেখায় সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

মৌলভীবাজারের বড়লেখার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের অফিসবাজারে সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়গাটি অফিসবাজারের সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড সংলগ্ন। সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্ট্যান্ড কমিটি।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, স্ট্যান্ডটি বাজারে প্রায় ২০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত। স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন অনুদানে গাড়ির রাখার জন্য স্ট্যান্ডটির কার্যালয় স্থাপনসহ উন্নয়ন কাজ হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি স্ট্যান্ড সংলগ্ন গাড়ি রাখার সরকারি জায়গায় পাকা দোকান ঘর তৈরির চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধ নির্মান কাজ উচ্ছেদ করে স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। সম্প্রতি ওইসহ প্রভাবশালীরা আবারও সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এ অবস্থায় স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওই এলাকার বাসিন্দা বিলাল উদ্দিন, সিরাই মিয়া, আব্দুল আজিজ, মঈন উদ্দিন, কয়েছ আহমদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সড়ক জনপথ (সওজ), দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।

বিজ্ঞাপন



এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিলাল উদ্দিন, সিরাই মিয়া, আব্দুল আজিজ, মঈন উদ্দিন ও কয়েছ আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় বিলাল উদ্দিন ও সিরাই মিয়ার বক্তব্য জানা যায়নি। আব্দুল আজিজ, মঈন উদ্দিন ও কয়েছ আহমদের সাথে কথা হয়।   

মঈন উদ্দিন বলেন, ‘জায়গাটি সরকারি ঠিক আছে। স্ট্যান্ডও সরকারি জায়গায়। আমি অন্যজনের কাছে থেকে দখলসূত্রে মালিক হয়েছি।’ আব্দুল আজিজ বলেন, ‘জায়গাটা যাদের পূর্ব পুরুষের ছিল তারা আমার কাছে জায়গার দখল বিক্রি করছে। আমি দখল সূত্রে মালিক।’

কয়েছ আহমদ বলেন, ‘স্ট্যান্ডের সাথে আমার কোনো ঝামেলা থাকার কথা নয়। জায়গাটি পূর্ব পুরুষের থেকে আমার ব্যক্তিমালিকানাধীন। তারা কেনো অভিযোগ দিয়েছে বুঝতে পারছি না।’

অফিসবাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক সালমান আহমদ নাসির বলেন, ‘স্ট্যান্ডটি ২০ বছর থেকে প্রতিষ্ঠিত। স্ট্যান্ডে সরকারি অনুদানে মাঠি ভরাট হয়েছে। আমাদের অনেক শ্রমিক। গাড়ি রাখার বিকল্প জায়গা নেই। এ অবস্থায় প্রভাশালীরা স্ট্যান্ড সংলগ্ন গাড়ি রাখার জায়গায় ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন। আমরা প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।’

বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান শনিবার (৪ জুলাই) বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জায়গাটি সার্ভে (পরিমাপ) করা হবে। যদি সরকারি জায়গা হয়ে থাকে তাহলে বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত