নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুলাই, ২০২০ ১৪:৫০

ডা. দুলাল-ডা. হিমাংশুসহ ৪ জনকে উকিল নোটিশ

ওসমানীর ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবীশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসক পরিষদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন চিকিৎসক নেতারা। এই দ্বন্দ্বের জেরে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সিলেট জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিনের পক্ষে উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

ডা রোকন উদ্দিনের পক্ষ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সুজায়াত হোসেন বিএমএ'র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ এর কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহমান রোমানকে এই উকিল নোটিশ প্রদান করেন।

এতে ডা আজিজুর রহমান অবৈধভাবে বিএমএ'র সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কমিটি গঠন করেছেন এবং এতে বিএমএ'র জেলা সভাপতির মতামত নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বিএমএ'র সিলেট জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, সিলেটে বিএমএ'র গত নির্বাচনে ডা. আজিজুর রহমান রোমান সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ওই নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত আছে। ফলে ডা. রোমান নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক নন। কিন্তু এই পদ অবৈধভাবে তিনি ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি তিনি এই পদ ব্যবহার করে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এই বিষয়টি আমদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমরা উকিুল নোটিশ পাঠিয়েছি।

বিজ্ঞাপন



ডা রোমানের সাথে ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক ও ডা. হিমাংশু লাল রায়কে উকিল নোটিশ পাঠানো প্রসঙ্গে ডা রোকন উদ্দিন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকের কমিটির অনুমোদন প্রদান করে বিজ্ঞপ্তিতে ডা. রোমান উল্লেখ করেছেন- ডা. দুলাল, ডা, ময়নুল ও ডা. হিমাংশুর সম্মতিক্রমে এই কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। তাই তাদেরও নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

উকিল নোটিশ এখনও পাননি জানিয়ে ডা. আজিজুর রহমান রোমান সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, নোটিশ পেলে আমি তার জবাব দেবো।

নিজেকে বিএমএ'র বৈধ সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে তিনি বলেন, বিএমএ'র ২৩টি পদের মধ্যে গত নির্বাচনে ২০ টি পদেই নির্বাচন হয়। এবং নির্বাচন কমিশন এসব পদে নির্বাচিতদের নামও ঘোষণা করে। যার মধ্যে আমিও রয়েছি। কেবল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ন সাধারণ পদ নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছিলো। এই তিন পদে নির্বাচনে আদালত স্থগিতাদেশ দেন।

ডা. আজিজুর রহমান রোমান বলেন, বিএমএ'র প্রতিনিধি হিসেবে আমি করোনাসংক্রান্ত সিলেটের সকল কমিটিতেই রয়েছি। তখন কেউ কোনো আপত্তি করেননি। এখন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলছেন।

তিনি বলেন, সভাপতি পদে ডা. রোকন উদ্দিনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি এখন বিএমএ'র কার্যক্রমে সংক্রিয়ও নন। এই সংকটকালীন সময়েও সিলেটে বিএমএ'র কোনো কার্যক্রম নেই।

যদিও ডা. রোকন উদ্দিন জানিয়েছেন, বিশেষ কোনো পদ নয়, সিলেট জেলা বিএমএ'র পুরো নির্বাচনের উপরই আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ ২০২০-২১ সালের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় ডাঃ.ইলহামুর রেজা চৌধুরীকে এবং সাধারণ সম্পাদক হন ডা. সুমন রায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত