নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুলাই, ২০২০ ১৮:১২

২০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্লান্ট হবে ওসমানীতে

খুব শীঘ্রই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। বর্তমান প্লানটি দশ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়া শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেও ১০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  মো. ইউনুছুর রহমান সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সিলেটে করোনা রোগীদের জন্য সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ সিওমেক-এর ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দান করা হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন (এইচএনএফসি মেশিন) গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মেশিনটি আইসিইউতে চিকিৎসাগ্রহণকারী কোভিড রোগীদের অত্যন্ত কাজে লাগবে, যা দিয়ে রোগীদের প্রয়োজন মাফিক উচ্চ চাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।

তিনি সিলেটবাসীকে আতংকিত না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলে, সিলেটবাসীর কল্যাণে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্ততি, পরিকল্পনা ও চেষ্টা অব্যাহত আছে।

১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষে হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন হস্তান্তর করেন ১২তম ব্যাচের ছাত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা’র সাবেক উপ-পরিচালক (ইপিআই) ডা. সফিকুর রহমান ও সিলেট বিভাগের সাবেক পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট ডা. বনদীপ লাল দাস। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও সার্জারি বিভাগের রেজিষ্ট্রার ডা. আদনান চৌধুরী প্রমূখ।

বিজ্ঞাপন



ওসমানী হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় উচ্চ চাহিদার যন্ত্র হচ্ছে হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন। এটা হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত অক্সিজেন ফ্লো মিটার। এর দ্বারা কোভিড রোগীদের উচ্চচাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। সিলেটবাসীর জন্য সুখবর এ পর্যন্ত আমাদের হাতেদান হিসাবে পাওয়া ৪টি হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন মওজুদ আছে।

১২তম ব্যাচের ছাত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা’র সাবেক উপ-পরিচালক (ইপিআই) ডা. সফিকুর রহমান বলেন, করোনা রোগীদের কল্যাণে চিকিৎসকরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে নিবেদিতভাবে দানও করে যাচ্ছে। আমাদের ১২তম ব্যাচের ছাত্ররা অনেকে অবসর জীবনে আছেন তারপরও মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এই মেশিন প্রদানে এগিয়ে এলেন যা মানবতার কল্যাণে এক মাইলফলক। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় কোভিড রোগীদের কল্যাণে ডাক্তাররা মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন মেডিকেল সরঞ্জাম দান করছে।

উল্লেখ্য, হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনুলা মেশিন দ্বারা করোনা রোগীদের প্রয়োজন মাফিক উচ্চ চাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। রোগীর প্রয়োজনে সর্বোচ্চ মিনিটে ৭০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। যা ভেন্টিলেশনের চেয়েও বেশী অক্সিজেন সরবরাহ করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত