বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৫ আগস্ট, ২০২০ ১৭:৪২

বিশ্বনাথে রুহেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ, গ্রেপ্তার ও অপসারণ দাবি

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলকে গ্রেপ্তার ও তার অপসারণ চায় ইউনিয়নবাসী। দুর্নীতি, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, উপজেলা পরিষদ পুড়ানো, টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি, প্রতারণা ও হত্যার অভিযোগসহ আরও নানা অভিযোগ এনে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তারা।

বুধবার (৫আগষ্ট) দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড়খুরমা গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক মো. হানিফ আলী।

বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার মনোকুপা গ্রামের মোতাওয়াল্লী মখলিছ আলী (৬৫) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ২৪জুন থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে, (মামলা নং-১৬)। ২০১৯ সালের ২আগষ্ট চাঁদা না দেওয়ায় বড়খুরমার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হারুন মিয়া উরফে ইরন মিয়ার পন্নাউল্লা বাজারের ২২নং দোকান ঘরটি জাল দলিলের মাধ্যমে দখলে নেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায়ও থানায় মামলা রয়েছে, (মামলা নং ৪)। ওই মামলায় চার্জশিটও দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান আরেকটি জাল দলিল তৈরি করে ওই দোকান-ঘরটি অন্য আরও একজনের কাছে বিক্রি করেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় গত ৭জুলাই বিশ্বনাথ থানায় আরও একটি এজাহার দাখিল করেন বড়তলার রুকন মিয়াজি।

কিন্তু চেয়ারম্যানের সঙ্গে আঁতাত করে দীর্ঘ একমাসেও থানা পুলিশ মামলাটি আমলে নেয়নি। এমনকি হত্যা মামলাসহ প্রায় ১০টি মামলায় অভিযুক্ত থাকলেও চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারও করছেনা পুলিশ। বড়খুরমা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নানু মিয়া, ইউনিয়নের চৌকিদার আব্দুল মতিন, উদ্যোক্তা সুরমান আলীকে তিনি নিজে মারধর ও অপমানিত করেছেন। তাছাড়াও নিজের ড্রয়ার থেকে টাকা সরিয়ে চৌকিদার মতিনকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় আরও ৮টি মামলার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

করোনাকালীন সরকারী বরাদ্দ তছনছ, তালিকা তৈরি ও বিতরণে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়। ২০১৬ সালের ১৯ আগস্ট টেংরার আজির (৫০) হত্যা মামলাটি আপোষে নিষ্পত্তির কথা বলে আসামিদের নিকট থেকে ২০লাখ টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ করা হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এমপিসহ ঊর্ধ্বতন মহলের নামে বিভিন্ন কটূক্তি করেন বলে উল্লেখ করা হয়। যে কারণে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

ইউনিয়ন পরিষদ আইনের তোয়াক্কা না করে ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আলতাব আলীকে হয়রানী ও সদস্য পদ বাতিলের চেষ্টা তদবিরেরও অভিযোগ তুলে দরা হয়।  শুধু তাই নয়, বিভিন্ন লোকের মধ্যে মারামারি করিয়ে বিচারের নামে টাকা আত্মসাৎ ও মানুষকে হয়রানী করাই তার কাজ। পিঠাকরা গ্রামের মাওলানা ইলিয়াছ হুমাইদি চেয়ারম্যানকে চাঁদা না দেওয়ায় এই পরিবারটিকে তার লোকজন ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন টেংরা গ্রামের আলতাব আলী মেম্বার, উত্তর বড়খুরমা গ্রামের আব্দুল জব্বার, বড়খুরমার আহমদ আলী, বড়তলার মখদ্দুছ আলী, হায়াতেরগাঁওর আব্দুল মন্নান, লালটেক গ্রামের বাবুল মিয়া, হানিফ আলী ও গ্রামপুলিশ আব্দুল মতিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত