গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:৪১

গোয়াইনঘাটে বন্যা: পর্যটন কেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞা

সিলেটের গোয়াইনঘাটের সবকটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওপারে মেঘালয়ের ভারি বর্ষণ এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশের সবকটি নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি সৃষ্ট বন্যার আরও অবনতি ঘটে। বাড়ি-ঘর, ফসলের মাঠ, রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ আর ভোগান্তির অন্ত নেই। গোয়াইনঘাটের সাথে জেলা সদর সিলেটের সবকটি সড়ক দিয়ে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার সবকটি সড়ক দিয়ে যান চলাচল সহ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারণে উপজেলার সবকটি পর্যটন স্পটে পর্যটক আগমন নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য পর্যটক আগমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ফসলের মাঠ, মাছের খামার ভেসে গেছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়া বিপদগ্রস্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। হাওর-বাওর পানিতে নিমজ্জিত থাকায় গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম অমানবিকতার মুখোমুখি হয়েছেন কৃষক।

গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে সিলেট সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর জাফলংসহ সবকটি সড়কের উপর দিয়ে তিন থেকে চার ফুট উপর দিয়ে বানের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানির তোড়ে এসব সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত এবং ব্রিজ,কালভার্টসমূহের অ্যাপ্রোচে মারাত্মক ভাঙ্গন দেখা দিয়ে সম্পূর্ণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে শনিবার গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন গ্রুপ মেসেঞ্জার থেকে পর্যটন স্পটসমূহ ভ্রমণ সতর্কতা জারিসহ পর্যটক আগমন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ খবর জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ষষ্ঠ দফা বন্যা বন্যা ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। গতকাল থেকে বন্যা পরিস্থিতির আজ আরও অবনতি ঘটেছে। বন্যার্তদের জন্য এখনো পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ তৎপরতা হাতে পৌঁছায়নি, তবে উপজেলার পানিবন্ধি কৃষকদের গরু, ছাগল, ভেড়াসহ গবাদিপশুর জন্য ১ হাজার ৬ শত কেজি খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত