নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ অক্টোবর, ২০২০ ২২:৪৫

ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন সাইফুর, অর্জুন ও রবিউল

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ আরও দুই আসামি। জবানবন্দি দেওয়া অপর দুই আমামি হলেন অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর এবং সিলেট মহানগর হাকিম-২ সাইফুর রহমানের আদালতে রবিউল ইসলাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ পর আদালত আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন বলে জানান তিনি।

শুক্রবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিমশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য ভূষন চৌধুরী জানান, ৩ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তারা ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এরআগে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলা হয় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে।

দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তাদেরকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ।

ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আসামি অর্জুন লস্কর গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এবং একইদিন বিকেলে মামলার ৫নং আসামি রবিউল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

বিজ্ঞাপন



সেদিন তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান।

এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন আসামি রাজন আহমদ, আইন উদ্দিন এবং এজাহারভূক্ত আসামি মাহবুবুর রহমান রনি, ৩ নং আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও ৬ নং আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমও রিমান্ডে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত। এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিন করে প্রত্যেককে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত