বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৯ অক্টোবর, ২০২০ ১৬:৫০

উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্বনাথে চলছে ভোটগ্রহণ

দীর্ঘ ১৭ বছর অপেক্ষার পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮নং দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে চলছে ভোট গ্রহণ।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতিতে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে দশঘর ইউনিয়নে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ও টহলে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলেছে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব জবেদুর রহমান, বিএনপি মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান ও জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মন্নান আর স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ‘ঘোড়া’ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব সামছু মিয়া লয়লুছ এবং বিএনপির বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আবুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন ১০টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশী। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত কোন কেন্দ্রেই কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদ্বন্ধি ৫ প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান পদের জন্য মূলত ৩ প্রার্থী রয়েছেন মূল প্রতিদ্বন্ধিতায়। নৌকা-ধানের শীষ আর ঘোড়া প্রতীকে। তবে, শেষ পর্যন্ত ‘নৌকা’ ও ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের মধ্যে মূল লড়াই হচ্ছে বলে ভোটারদের কাছ থেকে জানা গেছে।

ইউনিয়নের ১৪ হাজার ১১৮ জন ভোটার (পুরুষ ৭ হাজার ২০৯ ও মহিলা ৬ হাজার ৯০৯) নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে আগামী দিনের উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসেবে। কার মুখে শেষ হাসি এটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভোট গণনা পর্যন্ত।

এছাড়াও ইউনিয়নের ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য (মহিলা মেম্বার) পদে ১১ জন এবং ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য (মেম্বার) পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
জানা গেছে, ভোটগ্রহণ করতে উপজেলা দশঘর ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রের জন্য ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৮৫ জন পোলিং কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনের দিন সকাল থেকে ভোট গণণা পর্যন্ত নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশের ৩টি মোবাইল টিম, ৩টি স্টাইকিং টিম, ১টি স্ট্যান্ড বাই টিম ও ওসির নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম। তাছাড়া পুলিশের পাশাপাশি ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও র‌্যাবের টহল টিম বাড়তি নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত