নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ নভেম্বর, ২০১৫ ১৪:৪২

উইমেন্স হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলা : চার্জ গঠন ২৬ জানুয়ারি, ৪ জনের জামিন

সিলেটে সাংবাদিক পুত্রের অঙ্গহানির ঘটনায় সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩ ডাক্তারসহ ৪ জন জামিন পেয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের রেজিস্টার ডাক্তার জাবের আহমদ, ডা. তানভীর আহমদ চৌধুরী, ইন্টার্ণ শাফিনাজ মোস্তফা ও ব্রাদার তারেক সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিমের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।

আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে আগামী ২৬ জানুয়ারি মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে চিকিৎসায় অবহেলাকারী ৩ ডাক্তার মুখ ঢেকে আদালতে প্রবেশ করেন। শুনানী শেষে আবারো মুখ ঢেকে দ্রুত আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। 

আদালতে বাদী পক্ষে মামলার পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী, এ্যাডভোকেট আবুল হাসান, এ্যাডভোকেট সজল কুমার রায়, এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন, এ্যাডভোকেট সৈয়দ মুজিবুল হক জাবেদ, আসামী পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন এ্যাডভোকেট এএফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, এ্যাডভোকেট আবুল খয়ের হেলাল, এ্যাডভোকেট মশরুর চৌধুরী শওকত।

গত ১৮ জানুয়ারি নগরীর নয়াসড়কস্থ বাসার দরজার হেজবল্টে চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সিলেট টিুিভ ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি বদরুর রহমান বাবরের ছেলে ছেলে সাফি। ডানহাতের তর্জনিতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সাফিকে নিয়ে যান।

চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তার ছেলের আঙ্গুল পরবর্তীতে অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবর বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

আদালত মামলা গ্রহণ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ করেন। আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আংশিক অঙ্গহানি সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক গঠিত আরেকটি তদন্ত কমিটিও চিকিৎসায় অবহেলার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। আদালত বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটির মতামত পেয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ২৮ জুলাই চিকিৎসায় অবহেলাকারী ডাক্তার ও ইন্টার্ণে বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

আগামী ২ নভেম্বর এ মামলায় অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে ২৮ জুলাই বিএমডিসির রেজিস্টারের সাথে দেখা করে চিকিৎসায় অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবর।

এ ব্যাপারে মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবি এএফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু বলেন, মামলার ধারা জামিনযোগ্য হওয়ায় আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবি মো. শহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আদালত আগামী ২৬ জানুয়ারি মামলার চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করেছেন। আশা করি ওই দিন চার্জগঠন হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত