জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:২০

জৈন্তাপুরে শত্রুতার বলি সবজি বাগান

জৈন্তাপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে আগাছা দমনের কীটনাশক ছিটিয়ে কৃষকের সবজি বাগান ধ্বংস করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট পৃথক পৃথক অভিযোগ দাখিল করা হয়ছে।

গত (৯ জানুয়ারি) শনিবার রাত ১০টায় জৈন্তাপুর উপজেলার ১নং নিজপাট ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ হাওর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ১নং নিজপাট ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ হাওর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে কৃষক সাহাব উদ্দিন। বছরের প্রতিটি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির চাষ করে থাকেন। নিজের জমি না থাকায় আব্দুল কাদিরের আড়াই বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে তিনি শাক-সবজি চাষ করেন। গেল বছরে পার্শ্ববর্তী কামরাঙ্গীখেল গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে রহিম উদ্দিনকে সাথে নিয়ে শেয়ারে সবজি চাষ করেছিলেন। এ বছর জমির মালিক একক ভাবে সাহাব উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জমি ভাড়া দেন। সেখানে তিনি নিজের স্ত্রীকে নিয়ে হরেক রকম শাক-সবজি চাষ করেন। অন্যদিকে ব্যবসায় শেয়ার না করায় রহিম উদ্দিন প্রায় সময় সাহাব উদ্দিনকে হুমকী দিতে থাকেন। মাস খানেক পূর্বে রহিম উদ্দিন রাতের আধারে শিম গাছের বেশ কয়েকটা মাছা কেটে ফেলেন। সাহাব উদ্দিন বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বিগণের নিকট বিচার প্রার্থী হন।

সর্বশেষ ৯ জানুয়ারি রাত ১০টায় রহিম উদ্দিন ও লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের কালা মিয়া একটি স্প্রে মেশিন দিয়ে আগাছা দমনের কীটনাশক সাহাব উদ্দিনের সবজি বাগানে প্রয়োগ করতে শুরু করেন। এঘটনায় সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকটও অভিযোগ করেছেন। ১১ জানুয়ারি জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ সরেজমিন ঘটনা তদন্ত করেন।

এব্যাপারে উপ-পলিশ পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, সবজি বাগানে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গরীব অসহায় এই কৃষকের এত বড় ক্ষতি যে বা যারা করেছে তাদেরকে অবশ্যই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

কৃষক সাহাব উদ্দিন বলেন, আমার নিজের কোন জমি নেই কিন্তু জীবিকার তাগিদে অন্যের জমিতে চাষ করি। গত বছর রহিম উদ্দিনের সাথে ব্যবসা করেছি। কিন্তু এবছর ব্যবসায় তাকে শরিক না করার কারনে আমাকে সব সময় বলে তর সবজি ক্ষেত আমি দেখে নেব। তার এসব হুমকীর কথা আমি স্থানীয় শালিস ব্যাক্তিগণকে অবহিত করেও কোন বিচার কিংবা নিরাপত্তা পাইনি। বাধা কপি, ফুল কপি এবং শিম সহ বিভিন্ন জাতের সবজিতে বিষ প্রয়োগের কারনে আমার প্রায় ২লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত