নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:২২

সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা মন্দিরা রানী ভট্টাচার্য্য

জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ ২০১৯ইং কার্যক্রমে ‘সফল জননী নারী’ ক্যাটাগরীতে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পেয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জের মন্দিরা রানী ভট্টাচার্য্য।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও সিলেট বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে বিভাগের সফল জননী নারী হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতার স্বীকৃতি ও সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমানের কাছ থেকে তিনি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দীন পিপিএম, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শাহিনা আক্তার, কমিশনার (সার্বিক) মো. জাকারিয়া।

এছাড়া সিলেট বিভাগের রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রেস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এতে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রেষ্ঠ জয়িতা মন্দিরা রানী ভট্টাচার্য ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের বাদেদেউলি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় হজরত গোলাপ শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার স্বামী রতন চক্রবর্ত্তী ফেঞ্চুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি।

জয়িতা মন্দিরা রানী ভট্টাটার্য্য সুশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত পরিবার গড়ে তুলেছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ ছেলের জননী। যার মধ্যে রোপন চক্রবর্ত্তী মদন মোহন কলেজে ব্যবস্থাপনা নিয়ে মাস্টার্স ও লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে হিসাব বিজ্ঞানে এমবিএ করে সহকারী স্টেশন মাস্টার হিসাবে রেলওয়েতে কর্মরত। তার স্ত্রী মিথিলা চক্রবর্ত্তীও লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে হিসাব বিজ্ঞানে এমবিএ করে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে সিলেট স্কলারস হোম প্রিপারেটরী স্কুলে কর্মরত।

দ্বিতীয় ছেলে রমেন চক্রবর্ত্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগে মাস্টার্স করে সিনিয়র অফিসার হিসাবে সোনালি ব্যাংকে কর্মরত। তৃতীয় ছেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে স্নাতকে অধ্যয়নরত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত