তাহিরপুর প্রতিনিধি

২২ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:১৯

তাহিরপুরে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার নেই

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এক গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা করা হয়েছে। নিহতের বাবা মোঃ আব্দুল্লাহ (৫০) বাদী হয়ে বুধবার রাতে তাহিরপুর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং ৭,তারিখ ২১,০৪,২০২১।

এই হত্যাকান্ডের সাথে কে বা কারা জড়িত এর সঠিক কারন জানাযায় নি। এঘটনার পুলিশ কাউকে আটক করতে পারে নি।

তবে পুলিশ বলছে এটি পরিকল্পত হত্যা। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান বাদাঘাট পুলিশ ফাড়িঁর ইনর্চাজ এসআই রাজিব।
 
নিহত গৃহবধুর আজমিনা বেগম(২৪) দু-সন্তানের জননী। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন জামবাগ গ্রামের শাহানুর মিয়ার স্ত্রী। বুধবার(২১ই এপ্রিল)ভোর রাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামবাগ(জৈইতাপুর গ্রামে)গ্রামে এই হত্যাকান্ড ঘটে।  ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তাহিরপুর সার্কেলের এএসপি বাবুল আখতার, ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার, বাদাঘাট পুলিশ ফাড়িঁর ইনর্চাজ এসআই রাজিব।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন জামবাগ(জৈইতাপুর)গ্রামের গৃহবধূ আজমিনা বেগমের স্বামী শ্রমিক। তিনি বৈশাখ মাস হওয়ায় ধান কাটার জন্য ৭-৮দিন ধরে অন্যত্র থাকায় আজমিনা তার সন্তানদের দিয়ে ননদের সাথে থাকতেন। ওই রাত ২টার পর বিছানায় নিহতের ছেলেমেয়েরা তার মাকে না পেয়ে চিৎকার দিলে বাড়ির সবাই আসে দেখেন আমজিনা নেই। বাড়ির সামনে দরজা লাগানো থাকলে পিছনের দরজা খোলা ছিল। পরে রাতেই পরিবারের সদস্যরা সকল আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজা খোঁজি শুরু করে কিন্তু পায় নি।

এরপর সকালে আবারও খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে সকাল ৭টার দিকে বসতঘরের পাশে রান্না করার লাকড়ির রাখার জন্য তৈরি মাচার নিছে গাছের ডালপালা পাতা দিয়ে ডাকা অবস্থায় মৃত দেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নিহতের গলায় ও মাথার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা। এই ঘটনার পিছনে রহস্য আছে।

নিহতের স্বামী জানান, মা হারিয়ে আমার শিশু সন্তানদের কান্না থামাতে পারছি না। বার বার শুধু সন্তানরা তাদের মাকে চাচ্ছে। কারা এমন জঘন্য কাজটি করল। আমার সাথে কারো কোন বিরোধ ছিল না। যারাই এমন জগন্য কাজটি করেছে আমার সন্তানদেরকে মা হারা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবী করছি।

তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, এই ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক আলামতে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। নিহতের মাথা, গলা ও হাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে ও ঘটনার সাথে জরিতদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত