নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ১২:১১

শিশু সাঈদ হত্যা: অবশেষে অভিযোগ গঠন

অবশেষে হত্যার ৮ মাস পর শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হলো। আজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। আজ (মঙ্গলবার) সকালে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক আব্দুর রশীদ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আজ সকালে আদালতে এই মামলার ৪ আসামীর উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের পিপি আব্দুল মালেক জানান, অভিযোগ গঠনের পর আগামী ১৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।

চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ অপহৃত হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

ঘটনার তিনদিন পর ১৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর, র‌্যাবের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় ওলামালীগের আরেক নেতা মাসুম।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন। এরা হলেন সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও মাহিব হোসেন মাসুম। অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।

২৯ অক্টোবর মামলার নির্ধারিত তারিখে সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালত থেকে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি স্থানান্তর করা হয়।

জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুম পলাতক থাকায় বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিলো অভিযোগ গঠন। অবশেষে গত ১০ নভেম্বর আদালতে আত্নসমর্পন করে পলাতক আসামী মাসুম।

নিহত আবু সাঈদ রায়নগর হযরত শাহ মীর (র.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও একই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়াবাজারের খশিলা এলাকায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত