নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ০২:১১

শিশু সাঈদ হত্যা: রায় দিয়েই অবসরে যাবেন বিচারক

শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে অবসরে যাবেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ। রায় ঘোষণার পরদিনই ১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন বিচারক আব্দুর রশীদ।

আজকের (সোমবারের) এ রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করবে সাঈদ হত্যা মামলা। বিচার কাজ শুরু শুরু হওয়ার পর মাত্র আট কার্যদিবসেই সম্পন্ন হয়েছে বিচার।

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্নের পর রোববার দুপুরে রায়ের এ দিন ধার্য করেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ। মামলার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরদিনই রায়ের তারিখ ধার্য করেন বিচারক আব্দুর রশিদ। এটিও দ্রুত বিচার সম্পন্নের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক।

এ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার পরদিন ১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন বিচারক আব্দুর রশিদ।

তিনি জানান, সিলেটের অপর শিশু রাজন ও খুলনার খুলনার শিশু রাকিব হত্যার মামলার চেয়েও স্কুলছাত্র শিশু আবু সাঈদ হত্যার মামলার রায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে হতে যাচ্ছে।

শিশু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক মাসুদ, চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন ও কনস্টেবল দিলোয়ার হোসেন।

গত ১৭ নভেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মাত্র ৮ কার্যদিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

গত ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়।

অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা এবং মাহিব হোসেন মাসুম।

অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত