রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:৪৮

বাধা পেরিয়ে উচ্ছ্বসিত জগন্নাথপুরের শিক্ষার্থীরা

প্রায় দেড় বছর পর খুলেছে স্কুল-কলেজ। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় উচ্ছ্বসিত দেশের শিক্ষার্থীরা। আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরেও।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেখা যায়, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সোনাতনপুর গ্রামের একটি খালের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাশেঁর সাঁকো দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। সাঁকো পারাপারের সময় অনেক শিক্ষার্থীর আনন্দিত মুখ মলিন হয়ে যায় ভয়ে। তবে সাঁকো পার হওয়ার পর বিদ্যালয়ে যেতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছাত্র-ছাত্রীরা।

কথা হয় ৫ম শ্রেণির ছাত্রী তাজকিরা ইসলামের সঙ্গে। সে জানায়, গ্রামের সোনাতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে সে। করোনাভাইরাসের কারণে অনেকদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। যে কারণে লেখাপড়ার ক্ষতি হয়েছে। স্কুল খুলেছে, তাই খুবই ভালো লাগছে। তবে ভয় হচ্ছিল বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হতে হবে- এটা ভেবে। সাঁকো পার হওয়ার পর এখন তার খুশি লাগছে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে ভেবে।

তার মতো সাঁকো পার হতে ভয় পায় বলে জানিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এই সাঁকো দিয়ে সোনাতনপুর, কুরিহাল ও আহমদাবাদ- এই তিন গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে আসছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় সোনাতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৫ম ও ৩য় শ্রেণির কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পড়ে পাঠ গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। হাত ধোয়ার জন্য পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে সাবানও।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেছার আহমদ জানান, ১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্ষা মৌসুমে সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হয়। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত