শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৫৫

শান্তিগঞ্জের ইসলামপুরের রাস্তা পাকা করণের দাবি গ্রামবাসীর

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের পাগলা বাজারের উত্তর মাথায় মহাসিং নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ইসলামপুর গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে এ গ্রামের কয়েকশ মানুষ কাঁদা-পানিতে চলাচল করে আসছেন।

গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি গ্রামের একমাত্র  জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি যেনো পাকা করে দেওয়া হয়। এ জন্য তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হকের কাছে একটি মৌখিক আবেদনও করেছেন। অবশ্য, ৭ ফুট চওড়া ও প্রায় ৬শ ফুট দীর্ঘ এ রাস্তার সিসি ঢালাইয়ের কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়া আছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান নূরুল হক।

স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আড়াই বছর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও স্থানীয়দের ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছিলো। মাটি বসেছে। এভাবেই পড়ে আছে। বর্ষায় আমাদের সন্তানেরা স্কুল কলেজে কাঁদা মাড়িয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়। এ অবস্থায় রাস্তাটি পাকা করাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র দাবি।

স্থানীয় রাজন হোসেন, নুরুল হক, আবদুল ওয়াহাব, ইমরান হোসেনসহ ইসলামপুরবাসীর দাবি যত দ্রুত সম্ভব আমরা রাস্তাটি পাকা করণের দাবি করছি। এর আগে আমরা গ্রামবাসীর উদ্যোগে কিছু কাজ করিয়েছিলাম। পরে মন্ত্রী মহোদয়ের সহায়তায় আরও কিছু মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পড়ে আছে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা জরুরি।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের শান্তিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ও বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক শাকিল মুরাদ আফজল বলেন, আমরা ইউনিয়নের মধ্যে অন্ধকারে পড়ে আছি। দেখার কেউ নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামের রাস্তাটি কাঁদা পানিতে নষ্ট হচ্ছে। পাকা হচ্ছে না। আমাদের দাবি, রাস্তাটি যেনো দ্রুত নির্মাণ করা হয়।

পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক বলেন, রাস্তাটি ইতোমধ্যে পাকা করণের জন্য ইস্টিমেট গ্রহণ করা হয়েছে। এলজিইডির কার্যালয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। পাগলা উত্তর বাজার জামে মসজিদ থেকে ৬শ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট চওড়া। প্রায় ৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে রাস্তাটি। আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী যে, আগামী জানুয়ারির মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত