নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:০১

জামায়াত নেতার সংবর্ধনায় অতিথি আ. লীগ নেতা

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী আব্দুল হেকিমকে পরাজিত করে বিজয়ী চেয়ারম্যান ছাতক পৌর জামায়াত নেতা ও ছাতক ছাত্র শিবিরের সাবেক আমির অ্যাডভোকেট সুফি আলম সোহেল।

গত ২৬  নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় স্থানীয় মাদ্রাসা বাজার মাঠে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান।

জামায়াত নেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এবিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে ছাতক উপজেলার গনেশপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নেছার আহমদ বলেন, পোস্টারের মাধ্যমে প্রচারণা দেখে বিষয়টি আমি অবগত হয়ে অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমানকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে আমি মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমার অনুরোধ উপেক্ষা করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা মর্মাহত। তিনি যেহেতু আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন, বিতর্কিত এই জামায়াত নেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি হিসেবে অংশ না নিলে আমরা খুশি হতাম।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান বলেন, সুফি আলম সোহেল জেলা বারের একজন সদস্য। তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করায় তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সেই সংবর্ধনা জেলা বারের সভাপতিসহ নিমন্ত্রণ করলে আমরা অনুষ্ঠানে যাই। সোহেল জেলা বারের সদস্য হিসেবেই আমি অনুষ্ঠানে গিয়েছি, অন্য কোন কারণে নয়।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফি আলম সোহেল জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহেলের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের ব্যানারে লেখা ছিলো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। সে জামায়াত নেতা কি না সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

ছাতক উপজেলার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফি আলম সোহেল বলেন, আমি একসময়ে শিবিরের রাজনীতি করেছি। ওই সময়ে আমি সিলেট জেলা পশ্চিমের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। এরপর সুনামগঞ্জ জেলা শিবিরের সভাপতি দায়িত্ব পালন করি। তবে আমি জামায়াতের কোন পদে প্রায় ১২ বছর থেকে নেই। আমি সবসময় জনগণ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে আসছি।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান দাবি করেন তিনি বলেন, আমার চাচা মখলিছুর রহমান বিএনপির রাজনীতি করতেন। তিনি যুদ্ধের সময় শাহাদৎবরণ করেন। সেই সাথে আমার পিতা নুরুল ইসলাম সিলেট মদন মোহন কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। যুদ্ধের সময় আমার পিতাকে রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে ছাতকে হত্যা করে। আমরা পরিবারের অনেক মুক্তিযোদ্ধা সদস্য রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত