মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি সেই সাথে বাড়ছে না উৎপাদন। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে দ্রুত কর্তন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে সমলয় চাষাবাদের জন্য প্রথমবারের মতো ট্রে পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করছে কৃষকরা। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়ানো ও একযোগে কর্তন করা যাবে। আর এই কাজে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও মাঠে কৃষকের পাশে উপস্থিত থেকে পরামর্শ দিচ্ছে।

এমনি চিত্র দেখা গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলী ব্লকের উত্তর মুকশেদপুর সীমান্ত এলাকার পতিত জমিতে একশত জন কৃষকের কর্ম ব্যস্ততা।

সরজমিনে দেখা গেছে এ বীজতলা তৈরির নতুন এক ভিন্ন চিত্র। কৃষকরা মেশিন দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রেতে পানি দিচ্ছে আবার অনেকেই বপন করছে জনকরাজ জাতের ধানবীজ। ভালো মানের চারা উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্রথমবার ট্রেতে বীজ বপন করছেন কৃষকগন তাদের তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা ও উপ সহকারি কর্মকর্তাগন পরামর্শ দিচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় হাওর বেষ্টিত  তাহিরপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতি বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রেতে বীজতলা তৈরি শুরু করছেন একশত কৃষক দেড়শত বিঘা জমিতে।

বিন্নাকুলী ব্লকের মকসুদপুর গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম ও আব্দুস ছালাম জানায়, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনো ট্রেতে ধানচারা উৎপাদন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রথমে ট্রেতে বীজ বপন করা হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন পাব।

বাদাঘাট ইউনিয়ন ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হাসান বলেন,বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৩শত কেজির জনকরাজ বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এটি অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা জানান, একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সমলয় চাষাবাদ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া এ কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব। এই বিষয়টি সফল করতে আমি নিজে ও আমার উপ সহকারী কর্মকর্তাগন কৃষকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি।