হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:২০

ইউপি সদস্যের গলায় ‘টাকার মালা’, সেই এসআইকে শোকজ

ইউপি সদস্যকে টাকা ও ফুলের মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এসআই মুমিনুল। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্যের গলায় টাকার মালা পরিয়ে দেওয়া পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুলকে শোকজ করা হয়েছে।

বুধবার হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পেয়েছি। প্রশাসনিক কারণে তাকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।’

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, জনপ্রতিনিধির গলায় টাকার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন ওই পুলিশ সদস্য। যিনি মাধবপুর থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালন করেন মাধবপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল ইসলাম।

অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের পরদিন (৬ জানুয়ারি) বাঘাসুরা ইউনিয়নে যান মুমিনুল ইসলাম। এ সময় তিনি বিজয়ী প্রার্থীদের গলায় ফুলের ও টাকার মালা পরিয়ে দেন। যিনি বাঘাসুরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (কালিকাপুর) সদস্য পদে বিজয়ী প্রার্থী তাজুল ইসলাম মহালদার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুমিনুল ১৯৯৭ সালে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাধবপুর থানায় প্রথমে ড্রাইভার পদে কর্মরত ছিলেন। এরপর জুনিয়র সেরেস্তা/মুন্সি হিসেবে কাজ করেন। মুন্সি থাকাবস্থায় এএসআই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানায় চলে যান। সেখান থেকে ২০০৯ সালে আবার মাধবপুর থানায় যোগদান করে। ২০১২ সালে এসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে এসপিবিএন যোগদান করে ৬ মাস কর্মরত থেকে পুনরায় মাধবপুর থানায় চলে আসেন। দীর্ঘ কয়েক বছর থাকার পর গত ২ বছর পূর্বে মাধবপুর থেকে সিলেট ওসমানীনগর থানায় যোগদান করেন। ওসমানীনগর থানায় কয়েক দিন থাকার পরই তাকে শোকজ করা হয়। পরে তাকে সিলেটের জকিগঞ্জ চৌকি আদালতে বদলি করা হয়েছিল। সেখান থেকে মাস চারেক আগে আলোচিত-সমালোচিত এই এসআই মুমিনুল ইসলাম আবার মাধবপুরে চলে আসেন।

সবশেষ গত ৬ জানুয়ারি টাকার মামলা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনিক কারনে বুধবার পুলিশ সুপার তাকে শোকজ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত