ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ মে, ২০২২ ২২:৪৫

ফেঞ্চুগঞ্জে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে

এখনো পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে না সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যার্তরা। দুদিন ধরে অনেকেই শুকনো খাবার খেয়ে আছেন। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

পানিতে নিম্নাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বানভাসিদের মধ্যে। ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা বানভাসিরা কোনো নৌকা দেখলেই আশায় বুক বাঁধেন- এই বুঝি এলো ত্রাণের নৌকা। সাংবাদিক দেখে ছুটে যান নিজের নাম লেখানোর জন্য।

জানা গেছে, বন্যাদুর্গত ফেঞ্চুগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ত্রাণ এখনো কেউ পাননি। সরেজমিন বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়েনি। ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার বানভাসি মানুষ।

একই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের মরাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। প্লাবিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর, আমাশয়, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ।

বানভাসিরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেও দুর্গত এলাকায় এখনো মেডিকেল টিম পৌঁছেনি। শ্রমজীবী মানুষরা খাবার সংগ্রহ করতে না পারায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেওয়ায় গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, কেউই ত্রাণ নিয়ে আসছে না। বসতঘরে পানি থাকায় চুলায় আগুন জ্বালানোর মতো পরিস্থিতি নেই। শিশু খাদ্যেরও তীব্র সংকট রয়েছে।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার গয়াসী গ্রামের মৃদুল বিশ্বাস ও সম্পো বিশ্বাস বলেন,  তিনদিন ধরে আমরা পানিবন্দী। ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ায় রান্না করতে পারছি না। পরিবারের শিশুসহ সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছি। ত্রাণ তো দেওয়া দূরের কথা কেউ দেখতে আসছেন না।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্ত মানুষের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেবো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সবসময় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত