নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ মে, ২০২২ ২৩:৩৭

সাংবাদিক মঞ্জুর উপর হামলাকারী কারা?

সোমবার বিকেলে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে হামলার শিকার হন সিলেটের টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ইমজা) সভাপতি মঈন উদ্দিন মঞ্জু।

কারা মঈন উদ্দিন মঞ্জুর উপর হামলা চালিয়েছে এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে ইমজা নেতারা বলছেন, হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে একজনকে শনাক্ত করেছেন তারা।

এদিকে এই হামলার জন্য ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল একে অপরকে দোষারূপ করেছে।

সোমবার পাল্টাপাল্টি হামলার সময় আলিয়া মাদ্রাসার ভেতর হতে নিজের ফেসবুজ পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ) করছিলেন মঈন উদ্দিন মঞ্জু।
 
তার সরাসরি প্রচারিত ভিডিওতেও দেখা যায়, একদল যুবক হাতে লাঠি ও রড নিয়ে আলিয়া মাদ্রাসার ভিতরে অবস্থান করছিলো। এ সময় তাদের মধ্যে থেকে একজন মঈন উদ্দিন মঞ্জুর উপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় মঞ্জুকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ইমজা'র সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ বলেন, ভিডিওতে দেখা গেছে পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ মঞ্জুর উপর হামলা চালিয়েছেন। আমরা তার পরিচয় শনাক্ত করেছি। তার নাম মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের অনুসারী।

এ ব্যাপারে হাবিবুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম সিলেটটুডেকে বলেন, এটি একেবারেই ভিত্তিহীন অভিযোগ। আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে ছাত্রদল অবস্থান নিয়েছিলো। সেখানে আমাদের কেউ ছিলো না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পেছন থেকে ছাত্রদল হামলা চালায়। হামলার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। এরপর শুনতে পাই সাংবাদিক মঞ্জু আহত হয়েছেন।

নাজমুল বলেন, কোন ঘটনা ঘটলেই কেবল ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করা হয়। ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপানো হয়। অথচ ছাত্রদল নেতাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কারা এই হামলা চালিয়েছে।

তবে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল চৌহাট্টা পয়েন্টে যাওয়া মাত্রই পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মঞ্জুর উপরও হামলা চালায় তারা।

এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি ও হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি জানিয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আমরা হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিকেলে চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে আলিয়া মাদ্রাসার ভিতরে যান সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মঞ্জু। এ সময় কে বা কারা তার উপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের সমন্বয়ক ডা. কায়সার খোকন বলেন, সাংবিদক মঞ্জু হাতে ও পিঠে আঘাত পেয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত