জুড়ী প্রতিনিধি:

১০ আগস্ট, ২০২২ ০১:৫১

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে জুড়ীতে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি

নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরিসহ দাবি দাওয়া পূরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছে জুড়ী উপজেলার চা বাগানের শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি চা বাগানের শ্রমিকেরা পৃথকভাবে নিজ নিজ বাগানে এই কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন ২ ঘন্টা করে এ কর্মবিরতি চলবে।

সরেজমিনে সোনারুপা চা বাগানের ডিভিশন পুচি চা বাগান গিয়ে দেখা যায়, সেখানের প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক বাগানে কাজ রেখে রাস্তার পাশে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন।

বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মতি রুদ্রপাল বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে ৩০০ টাকা মজুরির জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি। মজুরি বোর্ডে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এ আন্দোলন। ১২০ টাকা থেকে ১৪ টাকা আমাদের হাজিরা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব আনা হয়েছিল। যা দিয়ে কোনো শ্রমিকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো অসম্ভব।’

এ চা বাগানের শ্রমিক রিনা রুদ্রপাল ,স্যাম সুন্দর চৌহান, খুলশী কর্মী বলেন, ‘আমাদের রাস্তার বেহাল দশা। সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে গেলে সারাদিন লাগে ডাক্তার দেখাতে। তাও আবার সব রোগের জন্য একটি প্যারাসিটাল একটা এন্টাসিড দেয়। আমাদের বসবাসের ঘরগুলোও থাকার অনুপযুক্ত।’

অন্যদিকে কাপনা পাহাড় চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজন্তী বাউরীর সভাপতিত্বে এ বাগানে কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী ভ্যালী চা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কমল বুনার্জী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমলা বাউরী, অর্থ সম্পাদক নীরেন বুনার্জী, ইউপি সদস্য ধীরেন বুনার্জী, সদস্য সঞ্জয় চাষা প্রমুখ।

বীরেন্দ্র চাষা, বীর গুগালি ডিভিশনের সভাপতি সুলভ বুনার্জী, পদ্মা বুনার্জী, অঞ্জনা চাষা, বিমল বুনার্জী, অনদা চাষা, প্রমিলা বাউরী প্রমুখ।

সোনারুপা চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাহিদ ফেরদৌস চৌধুরী জানান, চা শ্রমিকের দাবি দাওয়ার জন্য চা সংসদের প্রতিনিধিরা চা বোর্ডের সাথে বসে আলোচনা করেন। বাগানে কর্মবিরতি করতে হলে বোর্ড লিখিতভাবে আমাদের অবগত করে। এ বাগানে লিখিত কোনো কাগজ পাইনি। চা শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালনের জন্য মৌখিকভাবে আমাকে অবগত করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত