হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

১৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:৩২

সোনালী ও ব্রয়লারে ডাবল সেঞ্চুরি

হবিগঞ্জে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় করতে দেখা গেছে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।

দুয়েকদিন আগেও এখানকার বাজারে এ দুই প্রকারের মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতো।

মুরগির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। ব‍্যবসায়ীরা বলছেন, বিদ্যুৎ সংকটের কারণে খামারিরা ব্রয়লার মুরগি পালন কমিয়ে দিচ্ছেন। বাজারে মুরগি কম থাকায় দাম বেড়েছে।

হবিগঞ্জ শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা দোকানগুলোতে মুরগি কম। সেখানে উচ্চ দামে মুরগি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারিতে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা ও সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায়।

শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ি শফিক আহমেদ বলেন, ‘সকালে ২০০ টাকা করে বিক্রি করছি। এখন কেউ কেউ ২১০ করে বিক্রি করছে। আগামীকাল আরও বাড়বে। মুরগির সরবরাহ নাই। তাই দুইদিন পর থেকে হয়ত বাজারে মুরগি পাওয়া নাও যেতে পারে।’

শহরের খোয়াই মুখ এলাকায় মুরগি কিনতে এসে সবুজ মিয়া বলেন, ‘গরু, খাসির মাংস তো অনেক আগেই খাওয়া ছেড়ে দিছি। ভরসা ছিল পোল্ট্রি মুরগির ওপর। এখন এটার কেজিও ১৯০/২০০ টাকা হয়ে গেছে। আমরা সাধারণ মানুষরা কীভাবে কিনব বলেন।’

মুরগি কিনতে এসে খালি হাতেই ফিরে গেছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং কর্মকর্তা রকিবুল হাসান। ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘এক টাকা বেতন বাড়ে না, কিন্তু সব জিনিসের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়ছে। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে বাঁচব, তার জবাব কী সরকারের কাছে আছে?

‘প্রায় এক মাস পর মুরগি কিনতে আসছিলাম, এসে দাম শুনেই আমি ফিরে যাচ্ছি। এভাবে আর বাঁচা যায় না।’

এই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন বলেন, ‘বাজারে মুরগি নাই। আমি কয়েক কেজি মুরগি আনছি, দাও বেশি দামে। এখন বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামে বিক্রিও করতে হবে। আমাদের তো কিছু করার নেই। আমি প্রতি কেজি মুরগি থেকে মাত্র ১০/১৫ টাকা লাভ করছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘বর্তমান বাজারে মুরগির খাবারসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ছে। এ ছাড়া ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় গরমের কারণে খামারে মুরগি মরে যায়। তাই অনেক খামারি এখন আর মুরগি পালন করছেন না। তাই এ অবস্থার তৈরি হয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত