দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি:

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:১৪

অনলাইনে শতকরা ৫ ডলার লাভের ফাঁদ, শিক্ষককে পুলিশে দিলেন জনতা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে অনলাইনে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে স্কুলশিক্ষক আব্দুর রহমান আলামিনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতারণা অভিযোগ দিতে দোয়ারাবাজার থানায় আসেন বোগলা ইউনিয়নের শতাধিক যুবক, ব্যবসায়ী ও ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিনিয়োগকারীরা তাকে ধরে পুলিশে দেন।

বিজনেস অ্যাপের মাধ্যমে auroradefi.club সাইটে ডলার বিনিয়োগ করলে দৈনিক শতকরা ৫ ডলার লভ্যাংশ দেয়া হবে। এমন প্রস্তাবের প্রলোভনে পড়ে বোগলা বাজার ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি বোগলা বাজার, নোয়াডহর, বহরগাঁও, বাগানবাড়ি, ক্যাম্পেরঘাট, পেশকারগাঁও সহ ২৮ গ্রামের পাঁচ শতাধিক বেকার যুবক, শিক্ষক শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, গৃহিণীরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। আলমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান আল আমিনের প্রলোভনে পড়েন তারা। চার মাস আগে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের লোকজনকে এই ব্যবসায় সম্পৃক্ত করেন। পরে ইউনিয়নের ২৮ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে ব্যবসা ছড়িয়ে দেন তিনি।

সম্প্রতি বিনিয়োগকারীরা পুঁজি ও লভ্যাংশ ফেরত চাইলে তিনি এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিনিয়োগকারীরা তাকে ধরে পুলিশে দেন।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, শিক্ষক আল আমিন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বোগলা বাজার এলাকার জয়নাল আবেদীন বলেন, অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক ওয়েব সাইটে বিনিয়োগের জন্য তার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিছুদিন লভ্যাংশ দিলেও এখন তার লভ্যাংশ ও পুঁজি ফেরত চাওয়ায় তিনি টালবাহানা করছেন।

আরেক বিনিয়োগকারী রাকিব মিয়া বলেন, আমিও তার কাছে সাইটের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করেছি এখন সাইট বন্ধ রয়েছে। টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না

বোগলা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ আলী আপন বলেন, সে দীর্ঘ চার মাস ধরে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে লভ্যাংশ দেয়ার কথা বলে এলাকার পাঁচ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছে। আমাদের ধারণা সে কয়েক কোটি টাকা এভাবে সংগ্রহ করেছে।

বোগলা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলন খান বলেন, স্কুল শিক্ষক প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি এলাকাবাসী তাকে জানালে তিনি তাকে পরিষদের কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদুলাল ধর জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত