বড়লেখা প্রতিনিধি

০৭ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২১:৪১

বড়লেখায় ৪১জন শিক্ষককে সম্মাননা দিল শিক্ষার্থীরা

একসাথে এত শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান এ উপজেলায় এটাই প্রথম। আয়োজকরা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৬৫ বছর পূর্তি তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাদের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন।

একসাথে এত শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান এ উপজেলায় এটাই প্রথম। আয়োজকরা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৬৫ বছর পূর্তি তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাদের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন। ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীনি বিদ্যাপীঠটির নবীন প্রবীণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় সংর্বধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান ছাড়াও গতকাল দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নবীন প্রবীণের মিলন মেলায় ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখে।
বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী পরগনাহী দৌলতপুর সিনিয়র মাদ্রাসাটি ১৯৫০ সালে  স্থানীয় এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মাদ্রাসাটি বেশ সুনামের সাথে তার লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলে। পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষকরা আন্তরিক থাকায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার অল্পদিনেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়। জন্ম লগ্ন থেকে এখনও তার সুনাম ও সুখ্যাতি অক্ষুন্ন রেখেছে। (০৭ ফেব্রুয়ারী)  শনিবার দুপুরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ৬৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভার পাশাপাশি নানা আয়োজন করা হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসার শিক্ষক ফয়জুল হক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো: শাহাব উদ্দিন এমপি। বিশেষ অতিথির  বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, সিলেট টিচার্স কলেজের অধ্যক্ষ রফিক আহমদ, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র সাংবাদিক কাজী রমিজ উদ্দিন, স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী ও অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা সফর উদ্দিন, সংবর্ধিত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন লিয়াকত হোসাইন, অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফফার, পৌর কাউন্সিলর তাজ উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, ওয়াহিদুল হক শিপলু, বদরুল আলম উজ্জল প্রমুখ।
মরহুম শিক্ষকদের আত্মার মাগফেরাত কামানায় শোক প্রস্তাব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো: নজরুল ইসলাম। ১ মিনিট নিরব থেকে ফাতেহা পাঠের পর দোয়া পরিচালনা করেন সাবেক শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মতিন সারপারী। অতিথিবৃন্দ তাদের আলোচনায় বর্তমান সময়ে শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের এই সম্মাননা প্রধান ও বিদায় সংর্বধনাকে সবার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন। আলোচনা সভা শেষে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত  অবসরে যাওয়া মোট ৪১জন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা। এর মধ্যে ১৩ জন শিক্ষক ইন্তেকাল করায় তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মরনোত্তর সম্মাননা। নবীন ও প্রবীন শিক্ষার্থীর এ সেতুবন্ধন ও বিদায় সংর্বধনাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রকাশ করা হয় সংবর্ধনা স্মারক নামের স্মারকগ্রন্থ। অনুষ্ঠানে এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য ছাড়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত