নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:২৪

সিলেট নগরজুড়ে দিনভর ছিল হরতালের আবহ

সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ ও পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে সিলেট নগরজুড়ে দিনভর অনেকটা হরতালের আবহ বিরাজ করেছি। নগরের সড়কগুলোতে যানচলাচল ছিল-না বললেই চলে। বরং সড়কগুলো ছিল পথচারীদের দখলে। যারা জরুরি প্রয়োজনে বেরিয়েছিলেন, তারা গন্তব্যে ছুটছেন। আর বাকিরা ছিলেন আলিয়া মাদরাসামুখী।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নগরের ব্যস্ততম আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, রিকাবীবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, বন্দরবাজার, সোবহানীঘাটসহ দক্ষিণ সুরমা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল সাধারণ দিনের তুলনায় ছিল অনেকটা কম। ফাঁকা রাজপথ দাপিয়েছে রিকশা আর মোটরসাইকেল। সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘট আজ

ভোর ৬টা থেকে শুরু হলেও রাস্তায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং প্রাইভেট কার চলতে দেখা গেছে।

নগরের বন্দর বাজার এলাকায় কথা হয় দিপন পালের সঙ্গে। নগরের মীরাবাজার এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে তিনি এসেছিলেন জরুরি কাজে।

তিনি বলেন, ‘রিকশা-গাড়ি নাই। রিকশা যেগুলো আছে সেগুলো সুযোগ বুঝে তিনগুণ ভাড়া হাঁকছে। পরে রাগ করে হেঁটে এসেছি।’

নগরের অনেক বিপণীবিতানও খোলেনি। যেগুলো খোলা হয়েছে সেগুলোতে ক্রেতা ছিল-না বিকেল পর্যন্ত।

নগরের জিন্দাবাজার এলাকার শ্যামলী মার্কেটে বেলা দেড়টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে মূল ফটক বন্ধ। বাইরে নিরাপত্তাকর্মীরা দাঁড়িয়ে আছেন।

তাদের একজন আবদুল কাদির বলেন, ‘মানুষজন নাই। ক্রেতা নাই তাই মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যার পর খুলবে।’

তবে নগরের বড় বড় বিপণীবিতানগুলো সকালেই যথানিয়মে খুলেছে। কিন্তু সেগুলোতে অনেকটা সুনশান নীরবতা।

নগরের আল-হামরা শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম বললেন, ‘সকাল থেকে কোনো বেচা-কেনা নেই বললে চলে। মাঝে মধ্যে দু’একজন ক্রেতা আসছেন। আজকে ব্যবসা হবে বলে মনে হচ্ছে না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত