সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২৩:৩৬

কৈলাসটিলার ৭ নম্বর কূপে গ্যাস ও কনডেন্টসেটের সন্ধান

খনন শুরুর ১১৫তম দিনে সিলেটের কৈলাসটিলার ৭ নম্বর কূপে গ্যাস ও কনডেন্টসেটের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।

খনন শুরুর ১১৫তম দিনে সিলেটের কৈলাসটিলার ৭ নম্বর কূপে গ্যাস ও কনডেন্টসেটের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্রের এ কূপটি তেল উত্তোলনের জন্য গত বছরের ১৬ অক্টোবর খনন শুরু হয়।

অনুসন্ধানকারী দলের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিন হাজার ২৬২ থেকে তিন হাজার ২৬৬ ফুট গভীরতার প্রথম স্তর থেকে গ্যাসের সঙ্গে কনডেন্টসেট ওঠা শুরু হয়। বর্তমানে ড্রিলিং স্টিং পরীক্ষা চলছে। এ স্তর থেকে তেল পাওয়ার সম্ভবনার বিষয়ে পরবর্তীতে জানা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে এখানে তেল-গ্যাসের মোট ১৩টি স্তর চিহ্নিত করে বাপেক্স। এর মধ্যে ছয়টি তেলের ও ছয়টি গ্যাসের এবং একটি তেল ও গ্যাসের মিশ্র স্তর। ক্ষেত্রটির তিন হাজার ১৫০ মিটার পর্যন্ত গ্যাস আর তিন হাজার ৬০০ মিটার পর্যন্ত তেলের স্তরগুলোর অবস্থান।

বাপেক্সের তথ্য অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে প্রায় ১১ কোটি ব্যারেল তেল ও প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুত রয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি ব্যারেল তেল ও সাড়ে ৬০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাস উত্তোলনযোগ্য।

কূপটি খননে ব্যয় হচ্ছে ২১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। খননযন্ত্রও (রিগ) বিজয়-১০ দিয়ে কূপটি খনন করা হচ্ছে। বাপেক্স আশা করছে, কূপটি থেকে দৈনিক ৫০০ ব্যারেল করে তেল উত্তোলন করা সম্ভব হবে।১৯৮৬ সালে সিলেটের হরিপুর ক্ষেত্রে একটি গ্যাসকূপ খনন করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তেল উঠতে শুরু করে। মোট পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ব্যারেল তেল ওঠার পর কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত