বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:৪০

মামলায় জর্জরিত নুনু মিয়া

একদিনে আরও দুই মামলা, এনিয়ে ১১ মামলা দায়ের

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে একদিনে আরও দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে এই দু’টি প্রথক মমালা করা হয়। এনিয়ে গত কয়েকদিনে তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দায়ের করা পৃথক মামলায় সরকারি বরাদ্দ দেবার নাম করে ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়ার বিরুদ্ধে।

এসব মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য দবির মিয়াকে প্রধান আসামি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়াকে ২য় আসামি রাখা হয়েছে। এই দুই মামলা নিয়ে মোট ১১ মামলায় অভিযুক্ত হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ। তারা জানান, মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াসমিন মামলা দুটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

বাদী দু’জনের একজন হচ্ছেন লিলু মিয়া (৫২)। তিনি উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাধবপুর (খোজার পাড়া) গ্রামের মৃত হাজী মফিজ আলীর ছেলে। আদালতে তার দায়ের করা বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৩৬৪/২০২৩। অপর মামলার বাদী হচ্ছেন নুর হোসেন (৫০) নামের এক ব্যক্তি। তিনিও খোজারপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। আদালতে তার দায়ের করা বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৩৬৫/২০২৩।

মামলার এজাহারে বাদি লিলু মিয়া অভিযোগ করেছেন, তিনি একজন শারীরীক প্রতিবন্ধী এবং তার সন্তানরাও প্রতিবন্ধী। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ‘গভীর নলকূপসহ ওয়াশ ব্লক’ পাবার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। এরপর চেয়ারম্যানের কথামতে ১ জানুয়ারি তার পিএস দবির মিয়ার নিকট ২০হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু দীর্ঘ ৯ মাসেও বরাদ্দ কিংবা টাকা ফেরত না পাওয়ায় সম্প্রতি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে  চেয়ারম্যান ও তার পিএস টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

একই অভিযোগ মামলার অপর বাদী নুর হোসেনেরও। একই বরাদ্দের জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবন্ধী ভাতিজা মুস্তাকিনের জন্য ওয়াশ ব্লক পেতে ২০ হাজার টাকা দবির মিয়ার নিকট জমা দেন। একই তারিখে একই সময়ে গ্রামের আরেক অসহায় নারী শায়রা বেগমকে ওয়াশ ব্লক পাইয়ে দিতে দবির মিয়ার নিকট আরও ২০ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু সম্প্রতি যোগাযোগ করা হলে টাকা নেওয়া বিষয়টি অভিযুক্তরা অস্বীকার করেন। ফলে ন্যায় বিচার পেতে তারা আদালতে মামলা দায়ের করেন।

তবে, এসকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। তিনি বলেন, একটি পক্ষ তাকে ঘায়েল করতে উঠেপড়ে লেগেছে এবং এরাই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত