নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৫৬

গরম বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং

সিলেটে এখনো ঠিকঠাক ভাবে বাড়েনি গরমের তীব্রতা।শীতের রেশ কাটাতে না কাটতেই এরমধ্যেই লোডশেডিংয়ের ছোঁয়া পেতে শুরু করেছেন সিলেটের মানুষ। এই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকলেও মঙ্গলবার কয়েক দফা লোডশেডিং বিভ্রাটে পড়ে সিলেটবাসী। শুধু মঙ্গলবার নয় গত কয়েকদিন ধরেই সারা সিলেট শহরেই একই অবস্থা।তবে এই রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সিলেট নগরীর বাসিন্দারা।

গরম বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। সিলেটে ২-৩ ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে অফিস-আদালতে নিত্যদিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
মহানগরবাসী বলছেন, এখনো সে অর্থে গরম পরেনি। তবে এরই মধ্যে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিং। অনেক সময় সেহেরি বা ইফতারের আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো শিডিউল ও দেওয়া হয়নি। সারাদিনে প্রায় পাঁচ-ছয়বার বিদ্যুৎ যায়। এই রোজার সময় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে জানান তারা।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রাহমান রনি, জাতীয় গ্রেড থেকে চাহিদার কম বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে সিলেটে। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। সিলেট বিভাগে আজ ১২টা পর্যন্ত গ্রাহকদের চাহিদা ১৭৫ মেগাওয়াট। দেওয়া হয়েছে ১২৫ মেগাওয়াট। আর সিলেট জেলায় গ্রাহকদের চাহিদা ১১৫ মেগাওয়াট। দেওয়া হয়েছে ৭০ মেগাওয়াট। সে হিসেবে সিলেটে আজ ৩৫% বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। কয়লা সংকট সহ বিভিন্ন কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকার কারণে এই লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত