কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ মার্চ, ২০২৪ ১৭:০২

চা-শ্রমিকদের ফাগুয়ার উৎসব বোনাস প্রদানের দাবি চা-শ্রমিক সংঘের

চা-শ্রমিকদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ফাল্গুন মাসের মাসের দোল পূর্ণিমার সময় ফাগুয়া (লাল পূজা) উৎসবের সময় প্রাপ্য উৎসব বোনাস সকল চা-বাগানে প্রদান করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে চা-শ্রমিক সংঘ।

চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্যামল অলমিক এক যুক্ত বিবৃতিতে অভিযোগ করেন চা-বাগান মালিকদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি এবং চা-শিল্পে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরির গেজেট (এস. আর.ও. নং ২৪৬-আইন/২০২৩) অনুযায়ী ফাগুয়ায় সকল চা ও রাবার-শ্রমিক উৎসব বোনাস পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু এবছর ফাগুয়া উৎসবে এখনো অধিকাংশ বাগানের চা-শ্রমিকরা উৎসব বোনাস পাননি, এমনকি কোন কোন চা-বাগানের শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরিও ঠিকমতো পরিশোধ করা হয়নি। ডানকান ব্রাদার্স লিমিটেডের আলীনগর, সুনছড়া, চাতলাপুর, শমসেরনগর; দেউন্দি টি কোম্পানির মৃত্তিঙ্গা, লালচান, দেউন্দি নয়াপাড়া, এনটিসির দেওরাছড়াসহ বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকদের অদ্যাবধি ফাগুয়া উৎসব বোনাস প্রদান করা হয়নি। আবার কোন কোন বাগানে ফাগুয়ায় উৎসব বোনাস প্রদান করা হলেও পূর্ণ বোনাস না দিয়ে আংশিক বোনাস দেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন বাগানের চা-শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন দৈনিক মাত্র ১৭০ টাকা মজুরিতে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এমনিতেই চা-শ্রমিকদের অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। তার উপর শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা হলে শ্রমিকরা কোথায় যাবে? অথচ চা-শ্রমিকদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ২০২৩ সালে লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করে রেকর্ড পরিমাণ চা-উৎপাদন হয়। ২৪ মার্চ থেকে ফাগুয়া উৎসব শুরু হয়ে গেলেও এখনো অধিকাংশ চা-শ্রমিকদের উৎসব বোনাস প্রদান করা হয়নি।

"চা বাগান মালিকদের সাথে সম্পাদিত সর্বশেষ মজুরি চুক্তি (২৩ ডিসেম্বর ২০২৩) অনুযায়ী প্রতি বছর একজন চা-শ্রমিক ৫২ দিনের মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রাপ্য হবেন, যার ৬০ শতাংশ দুর্গা পূজায় এবং অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ ফাগুয়ায় পাবেন। সেই হিসেবে ফাগুয়ায় একজন শ্রমিক ৩,৫৩৬ টাকা উৎসব বোনাস পাবেন। চা-শ্রমিক সংঘের নেতারা অবিলম্বে সকল চা ও রাবার শ্রমিকদের পূর্ণ বোনাস হিসেবে ৩,৫৩৬ টাকা প্রদান এবং যে সকল চা-বাগানে এশিয়ার টাকা বকেয়া রয়েছে ও মজুরি বকেয়া আছে তা অবিলম্বে পরিশোধ করা দাবি জানান। অন্যথায় চা-শ্রমিকরা বেঁচে থাকার তাগিয়ে ২০২২ সালের আগস্ট মাসের আন্দোলনের শিক্ষা থেকে নতুন করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত