০৮ আগস্ট, ২০২৫ ০২:১১
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে এক ‘জুলাইযোদ্ধা’কে লাঞ্ছিত করে তোপের মুখে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আবুল আহসান জাবুর পদত্যাগ করেছেন।
জাবুর ও জুলাই আন্দোলনে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের ভাই।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তিনি সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক বরাবরে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। এ নিয়ে সিলেটে এনসিপি থেকে ৯ জন পদত্যাগ করলেন।
এররআগে গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত জুলাইযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্য সম্মেলন থেকে সেলিম আহমদ নামের ওই ‘জুলাইযোদ্ধা’কে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেন জাবুর।
লাঞ্ছিত সেলিম আহমদ সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং জুলাই আন্দোলনে তিনি চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান।
এ ঘটনার প্রতিবাদে নগরে ওইদিনই বিক্ষোভ করে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল। ওই বিক্ষোভ থেকে জাবুর ও তার সহযোগিদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আল্টেমেটাম দেওয়া হয়েছলো। এই আল্টিমেটামের সময়সীমা পেরোনোর আগেই পদত্যাগ করলেন জাবুর।
জাবুর পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, তিনি এনসিপি সিলেট জেলার জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী। ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে ব্যস্ত থাকায় দলের কার্যক্রমে সময় দিতে পারছেন না। তাই স্বপদে বহাল থাকা নতুন রাজনৈতিক দলের বন্দোবস্তের মধ্যে পড়ে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে অব্যাহতি ও পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
কমিটি ঘোষণার পর সম্প্রতি সিলেটে এনসিপি থেকে বারবার নেতাকর্মীদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটছে। কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া, না জানিয়ে কমিটিতে রাখাসহ নানা কারণে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ১২ জুলাই কমিটি ঘোষণার পরদিন বিশ্বনাথ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটি থেকে চার নেতা পদত্যাগ করেন। এদের মধ্যে গোয়েনঘাট উপজেলা কমিটি থেকে সদস্য ফাহিম আহমদ ও যুগ্ম সমন্বয়কারী নাদিম মাহমুদ এবং বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটি থেকে যুগ্ম সমন্বয়কারী রুহুল আমিন ও সদস্য শাহেদ আহম্মেদ পদত্যাগ করেন। এছাড়া গত ২১ জুলাই গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটি থেকে আরও চার নেতা পদত্যাগ করেন। এরা হলেন- যুগ্ম সমন্বয়কারী এনামুল হক মারুফ, সদস্য তরিকুল ইসলাম, কিবরিয়া আহমদ ও কামরুল হাসান।
আপনার মন্তব্য