নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৮:৪২

জীবিকার টানে এসে জীবন গেলো ৪ শ্রমিকের

ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে রবিবার রাতে মাটি চাপায় ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়, সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ


জীবিকার টানে পাখর কোয়ারিতে কাজ করতে এসেছিলেন তারা। অথচ এই পাথর কোয়ারিই কেড়ে নিলো তাদের জীবন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর তুলতে গিয়ে মাটি চাপায় ৪ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ কোয়ারি থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে। রবিবার রাতে মাটি চাপায় শ্রমিকদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে বারবারই ঘটেছ প্রাণহানির ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলন, সীমান্তরখা অতিক্রম, রাতের আঁঁধারে পাথর চুরিসহ বিভিন্ন কারনে প্রাণ হারাচ্ছে শ্রমিকরা। তবে কয়েক লক্ষ শ্রমিক এই কোয়ারিতে কাজ করলেও অদ্যাবদি উপেক্ষিত থেকে গেছে এখানকার শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়টি। ফলে প্রাণের তাগিদে প্রাণ হারাতে হচ্ছে শ্রমিকদের।
সর্বশেষ রোববার মারা যান- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের এতিম হোসেনের ছেলে মইন (৪০), একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে দানা মিয়া (৪২), শাহজালালের ছেলে দেলোয়ার (২৪) ও ছিদ্দিক আলীর ছেলে এমদাদুল হক সেলিম (৪২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রবিবার রাতে অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে মইন, দানা, দেলোয়ার ও সেলিম ভোলাগঞ্জ কোয়ারির গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন করছিলেন। মধ্যরাতের দিকে গর্ত ধসে মাটি চাপা পড়ে মারা যান এই চার শ্রমিক।
মাটি চাপার খবর পেয়ে কোয়ারির অন্যান্য শ্রমিক ও এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। সকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সোমবার সকাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে বেলা ২টার দিকে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর শ্রমিকদের লাশ কাঠালবাড়ি জামে মসজিদের সামনে রাখা হয়। বিকেলে সেখানেই জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন জানান, চার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন। নিহতদের স্বজনরা ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে যাওয়ার আবেদন করায় ময়না তদন্ত করা হয়নি।

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত