হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

২৮ এপ্রিল, ২০১৬ ২৩:০৯

চুনারুঘাটে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ

চুনারুঘাট উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে নীতিমালার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জ্যেষ্ঠতা অনুসরণ না করা এবং একই পদে একাধিক ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ভোক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত নীতিমালা রয়েছে। ওই নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। নীতিমালায় সর্বাগ্রে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রাধান্য দিতে হবে সর্বপ্রথম যিনি আবেদন করেছেন তাকে। কিন্তু চুনারুঘাটে কোনভাবেই নীতিমালাকে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। এখানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। এ স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে হাজী ইয়াসিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূণ্যপদ পূরণ করা যাচ্ছে না। পৌরসভার নিকটবর্তী হওয়ায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শূণ্যপদে ছয়জন শিক্ষক বদলির আবেদন করেন।

নিয়ম অনুযায়ী যিনি জ্যেষ্ঠ তার নাম সুপারিশ আকারে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে উপ-পরিচালক সিলেটকে প্রেরণ করতে হয়। বদলির আবেদনকারীদের মধ্যে রাণীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী ছিলেন সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা থেকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের নাম প্রস্তাব আকারে প্রেরণের বিধান রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথম দফায় আইয়ুব আলীর সঙ্গে কনিষ্ঠ শিক্ষিকা কেউন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃঞ্চা ভট্টাচার্যের নামও প্রেরণ করা হয়। একটি শূণ্য পদের বিপরীতে দু’জনের নাম প্রস্তাব করায় উপ-পরিচালক সিলেট প্রস্তাবটি ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পর জ্যেষ্ঠ ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করে পুনরায় পাঠানো হয়েছে। এ পদ ছাড়াও আরো অসংখ্য শূণ্যপদে বদলির ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মো. জুনায়েদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে অপারগতা জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত