দেবব্রত চৌধুরী লিটন

৩০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:৫৯

সার্ভার ডাউন, নগরীতে সিম নিবন্ধনের নামে চলছে অবৈধভাবে টাকা আদায়

আজ শেষ হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কাজ। শনিবার সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাস্টমার সেন্টার, রিটেলার পয়েন্ট ও রাস্তার মধ্যে ছাতা টাঙিয়ে চলছে সিম নিবন্ধনের কাজ হচ্ছে। সিলেটের প্রায় প্রতিটি জায়গায় রয়েছে মোবাইল গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন।

শনিবার সকাল ১১টায় পঞ্চাশোর্ধ শামসুন্নাহার বেগমের সাথে কথা হয় নগরীর আম্বরখানা এলাকার একটি মোবাইল অপারেটরের কাষ্টমার সার্ভিসের প্রতিষ্ঠানে। তিনি জানান, প্রায় ২ ঘন্টা ধরে স্বামীকে নিয়ে ঘুরছি নিবন্ধনের জন্য। প্রতিটি জায়গায়ই অত্যধিক ভিরের কারণে এখনো নিবন্ধন করতে পারিনি। যারা সিম নিবন্ধন করতে গেছেন তাদের সবাইকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যে কাজ হওয়ার কথা সেটা করতে সময় যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টাও পর্যন্ত। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন করতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।


শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেল এমনই চিত্র। মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার সার্ভিস ও রিটেলার পয়েন্টেসহ সর্বত্রই ছিল গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন ছিল। এর মধ্যে শেষ দিন হওয়ায় অধিকসংখ্যক মানুষের রেজিষ্টেশনের চাপে সার্ভার ডাউনের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় মোবাইল গ্রাহকদের।

লামাবাজার এলাকার নিয়াজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো.আশরাফ আলী জানান সার্ভার ডাউন হওয়ার কারণে এক একটি নিবন্ধনের কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২০ - ৫০ টাকা রেট নির্ধারণ করে নিবন্ধনের নামে আদায় করা হচ্ছে।

ধীরাজ কুমার দাস দুপুর পৌনে ১টায় লামাবাজার পয়েন্টের স্মার্ট লিংকে এসেছেন সীম নিবন্ধনের জন্য। সীমটি নিবন্ধনের পর দোকানি তার কাছে ২০ টাকা দাবী করেন। এ নিয়ে তার সাথে নিবন্ধনকারীর তর্কাতর্কি ঘটনাও ঘটেছে।

দোকানটির মালিক সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমি আমার ব্যবসা বাদ দিয়ে নিবন্ধনের কাজ করছি। টাকা না পেলে আমি কেন এ কাজ করবো। একথা শুনে বাধ্য হয়েই ২০ টাকা দিয়ে নিবন্ধনের কাজ সারেন।

এরকম ভাবে সিলেটের বেশিরভাগ জায়গায় অবৈধ ভাবে আদায় করা হচ্ছে টাকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত