দেবব্রত চৌধুরী লিটন

২৫ জুন, ২০১৬ ২২:৫৭

কী হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে?

নামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। অথচ ভবনটির সাথে মুক্তিযোদ্ধরা সম্পৃক্ত নন। এই ভবনের দখল পেতে আদালতে মামলা করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। তবে এখনো ডেপোলাপার প্রতিষ্ঠানের দখলেই আছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। নগরীর চৌহাট্টার এই বহুতল ভবনটির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে।

এবার এই ভবনের কর্মকান্ড নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ওঠেছে। এই ভবনে রাত হলেই অনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এনিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকাবাসী।

চৌহাট্টা এলাকাবাসীর অভিযোগ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলায় প্রতিরাতেই চলে মদ্যপান ও অসামাজিক কার্যকলাপ। স্থানীয় এলাকাবাসীদের সংগঠন নিলয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার ব্যানারে এই ভবনের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার রাতে তারা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে ভবনটির দায়িত্বে থাকা ডেভোলাপার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে নিলয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমদ শনিবার সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নামের এই ভবনটি নুরুল হুদা চৌধুরী অনেকদিন ধরে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখে আত্মসাৎ করে চলছেন। ভবনটিতে বেশ কিছু দিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। প্রতিরাতে সেখানে মদ ও জুয়ার আসর বসে। সন্দেহজনক নারীরাও আনাগোনা করেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামে তৈরী করা এই ভবনে এরকম অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে মাঠে নেমেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নামের এই ভবনটি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ফিরিয়ে দিলে এমনটা হতো না বলে মনে করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভবনের দায়িত্বে থাকা ডেভোলাপার নুরুল হুদা চৌধুরী সিলেটটুডে টোয়েনটিফোর ডটকমে বলেন, আমি ভবনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যতটুকু জেনেছি ভবনে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে এলাকাবাসী ভবনটি বন্ধ করে দিয়েছে। যদি তাদের অভিযোগ সত্য হয়ে থাকে তাহলেও এলাকাবাসীর ভবনটি বন্ধ করা আইন সংগত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবনে এমন কিছু ঘটে থাকলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো উচিত ছিল এলাকাবাসীর। তারা সেটি না করে ভবনে থাকা ব্যবসায়ীদের বের করে দিয়েছে। তাছাড়া ভবনের ৪/৫ তলায় এমন ঘটনা ঘটে থাকলে ১,২ ও ৩ তলার ব্যবসায়ীরা তো কোন দোষ করেন নি, তবে কেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।

এসময় তিনি বলেন, এই জায়গাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের। আমি শুধুমাত্র ডেভোলাপার হিসাবে ভবনটি নির্মাণ করেছি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের প্রাপ্য অংশটুকু বুঝে না নেওয়ার কারণে আমি মাঝেমধ্যে সেখানে যাই। আমি আমার পজেশন বেশ কয়েকজনের কাছে হস্তান্তর করেছি। ভবনে তালা দেওয়ার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন রানা সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই ভবনটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মান করা হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মামলা করেছে। মামলাটি উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, এই ভবনে অসামাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগ পেয়েছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত