সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০৮

মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার প্রতিষ্ঠিত : সিলেটে প্রধান তথ্য কমিশনার

তথ্যের অবাধ প্রবাহের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের সাধারণ মানুষ এই আইনের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। এই আইনের ফলে সরকারী-বেসরকারি দপ্তর থেকে গণমাধ্যমসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোন কারণে তথ্য গোপনের সুযোগ নেই। দেশের যে কোন নাগরিক তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তথ্য দিতে বাধ্য। অন্যথায় তাকে শাস্তির আওতায় আসতে হবে।

শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন, আইনজীবীদের হাতিয়ার শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালে এই আইন প্রণয়ন হলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সকল মহলের সচেতনতা গড়ে উঠেনি। সে কারণে সাধারণ মানুষ তথ্য পাওয়ার যে অধিকার রয়েছে তা সম্পর্কে অজ্ঞাত রয়ে গেছে। এই আইন পাস হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৬হাজার লোক বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন। অথচ এই সময়ের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রায় ৫৫ লক্ষ লোক তাদের সংশ্লিষ্ট দফতরে তথ্যের জন্য আবেদন করেছেন। ফলে বাংলাদেশের তথ্য পাওয়ার অধিকার এবং তথ্য প্রাপ্তির আইনটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে আইনজীবীদের মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, যে কোন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীরা যাতে সহজে তথ্য পেতে পারেন এজন্য এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও আইনের সুযোগ নেয়ার জন্য আইনজীবীদের আহ্বান জানান।

সিলেট জেলা দায়রা জজ মনির আহমদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও এডভোকেট আব্দুল হাই কাইয়ুমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জার্মান ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা এফএএফ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. নাজমুল ইসলাম। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক জাফর রাজা চৌধুরী।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিমল চন্দ সিকদার, বিভাগীয় স্পেশাল জজ ফাহমিদা কাদের, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের জজ মো. মকবুল আহসান, সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো, সিলেট মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান, সিলেট জজ কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা জজ জয়নাল আবেদিন, অতিরিক্ত জেলা জজ সৈয়দ হুমায়ুন আজাদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ.এন এম জুলফিকার হায়াত, জেলা জজ (ভূমি) কাওসার আহমদ, অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক উম্মে সারাবান তাহুরা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নারগিস ইসলাম, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার তাসলিমা শারমিন, সিনিয়র সহকারী জজ আফরোজা ইসলাম কলি, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আতিকুল হায়দার, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান, সহকারী জজ (কানাইঘাট) লায়লা মেহের বানু, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা চৌধুরী, সহকারী জজ (গোয়াইনঘাট) সাইফুর রহমান, সিনিয়র সহকারী জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সিলেট জেলা জজ কোর্টের পিপি খাদেমুল মিল্লাত মো. জালাল, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

আরো উপস্থিত ছিলেন,এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট ফখরুর ইসলাম, এডভোকেট মো. আব্দুল হান্নান, এডভোকেট সৈয়দা শিরিন আক্তার, এডভোকেট শামসুল ইসলাম, এডভোকেট আবু আলা মো. আহসান(প্রিন্স), এডভোকেট জুবের বখত জুবের, এডভোকেট আজিজুর রহমান, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, এডভোকেট মো. জাকির হোসাইন, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, এডভোকেট এ এইচ এম রুহুল হুদা, এডভোকেট রাশিদা সাঈদা, এডভোকেট মো. জালাল, উপ পরিচালক (তথ্য) জুলিয়া জেসমিন মিলি, সি ইউ শহিদুল ইসলাম, এডভোকেট কিশোর কুমার কর, এডভোকেট জাকিয়া জালাল, এডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট তাজ উদ্দিন প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত