সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৯:০২

স্কুলছাত্র ইমন হত্যা : দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা উঠছে

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলা সোমবার সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে উঠছে। এদিন গ্রেফতারকৃত ৭ আসামীকে প্রথমবারের মতো দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। এর আগে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।  প্রথমদিন আসামীদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।  

ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র ছিল ইমন। ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ তাকে অপহরন করা হয়। পরে মুক্তিপনের দু’লক্ষ টাকা না পেয়ে অপহরনকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে কদমতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত ইমনের বাবা জহুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছাতক থানায় মামলা (নং-৩২) করেন। আসামীদের মধ্যে  জামায়াত নেতা সুয়েবুর রহমান সুজন, বাচ্চু, জায়েদ, রফিক রয়েছে জেলহাজতে। এ মামলার অন্য আসামী সালেহ আহমদ পলাতক রয়েছে।

চলতি বছরের ২১ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে প্রেরনের জন্য গেজেট প্রকাশ করে। ফলে বিচার দ্রুত নিস্পত্তি ও সুবিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছেন নিহত শিশু মোস্তাফিজুর রহমান ইমনের পিতা ও মামলার বাদী জহুর আলী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত