নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ মার্চ, ২০১৭ ১৩:২৭

প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন সিলেট কারাগারে বন্দি জঙ্গি রিপন

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলা

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামির অন্যতম সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে বন্দি জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) তিনি এ প্রাণভিক্ষার লিখিত আবেদন করেন বলে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া।

এর আগে গত বুধবার সকালে রিপনকে রিভিউ খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয়। তখন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে রিপন জানান, তিনি আইনজীবী ও পরিবারের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি মৌখিকভাবে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মামলার অপর দুই আসামি জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল বিপুল বন্দি আছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রিয় কারাগারে। তারা ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষা দিতে আনুষ্ঠানিক অসম্মতি জানালে এই ৩ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না। যেকোনো সময় তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে পাবে কারা কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।

প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন।

আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ করেন। রোববার (১৯ মার্চ) দেওয়া রিভিউ খারিজের রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত