শিপার আহমেদ

২৭ মার্চ, ২০১৭ ২১:৫০

বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর পদে ১০০ প্রার্থী

আগামী ২৫ এপ্রিল বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রথমবারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ মার্চ বাছাই, ৫ এপ্রিল প্রত্যাহার ও ৬ এপ্রিল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মেয়র পদে ১১ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৮১ জন ও মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১শ’ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

প্রায় মাসখানেক সময় বাকী থাকলেও পৌর নির্বাচনকে উপলক্ষ করে সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদের যেন তর সইছেনা। সর্বত্র চলছে কৌশল, ভোটের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। উঠোন বৈঠক, মত-বিনিময়, রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করার চেষ্টায় গ্রামে-গ্রামে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নানা কানকথা, চাপা ক্ষোভ, গুজব, প্রার্থীজট, ভোটের অপেক্ষা সবমিলিয়ে যেন চৈত্রের ভরদুপুরে বৈশাখী গর্জন।

জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র ও কাউন্সিলার পদে প্রার্থীজট সৃষ্টি হয়েছে। কোন ওয়ার্ডে ১০জনেরও বেশী প্রার্থী কাউন্সিলার পদে নির্বাচন করতে কোমর বাঁধছেন। মেয়র পদেও সব রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রশাসক মো. তফজ্জুল হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ, কমিউনিটি নেতা বদরুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকির হোসেন, আমান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শুকুর, বিএনপির পৌর সভাপতি আবু নাসের পিন্টু, জাতীয় পার্টি থেকে সাহেদ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা জমির হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মাওলানা শামীম আহমদ ও জাসদ থেকে শমসের আলম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে। এখানে কারো প্রতি বিরাগভাজন কিংবা অনুরাগের সম্ভাবনা দেখানো হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন ওসি।

রিটার্নিং অফিসার মো. মনির হোসেন জানান, মনোনয়নপত্র বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলাসহ অন্যান্য কাজে মনোনিবেশ করব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত