০৫ জুলাই, ২০১৭ ১৩:০৮
নবীগঞ্জের কায়স্থগ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য জাহির আলীকে জড়িয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগটি সামাজিকভাবে সালিশে নিষ্পত্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে এ ঘটনাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর নিজ বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক বসে। এতে দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদকের সহোদর মুহিবুর রহমান চৌধুরী হান্নানের সভাপতিত্বে অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর কর্মকর্তা কলিম আহমদসহ অত্র এলাকার অনেক বিশিষ্ট মুরুব্বিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, একটি মেমোরি কার্ড নিয়ে কয়েকদিন পূর্বে কায়স্থগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাহির আলীর নাতি পারভেজ আহমেদ ও একই গ্রামের আমির মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়ার মধ্যে হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। তবে তারা দুপক্ষই একে অপরের আত্মীয়।
তারা জানান, শিশু বাচ্চাদের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কায়স্থগ্রামে নানার বাড়িতে বসবাসকারী ছনি চৌধুরী নামের এক ছেলে সাংবাদিকদের ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং একটি ভুয়া ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়ে দেয়। ছনির দেওয়া তথ্যে কয়েকজন সাংবাদিক জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এমনকি ছনির নামেও একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে 'মিথ্যা সংবাদ' প্রকাশ হয় বলে অভিযোগ উঠে। এরপর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। নির্যাতনের শিকার দাবীদার পারভেজের পরিবার শিশু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেন।
অপর দিকে ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী কতিপয় ছনির বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হন। এ অবস্থায় দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদকের সহোদর মুহিবুর রহমান চৌধুরী হান্নান ও অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর কলিম আহমদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি আপোষে সমাধানের লক্ষে সালিশ বৈঠকে বসা হয়। বিষয়টি উভয় পক্ষের মুরব্বীদের আন্তরিকতায় স্থানীয় মুরব্বী ও সালিশ ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে সালিশের সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ছনি চৌধুরী প্রকাশে ক্ষমা প্রার্থী হলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
অপরদিকে যেহেতু বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি হয়েছে তাই আইনিভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান সালিশে উপস্থিত মুরুব্বিয়ান।
আপনার মন্তব্য